প্রগাঢ় নিঃসঙ্গতায় সময়কে বয়ে যেতে দেয় বহুক্ষণ
লোকটা গাছের নিচে। দেখছে না নীল
ঘাসের কুসুম, ভাসমান মেঘমালা, পাখির উড়াল, শুধু
নিজের ভেতরে সুগভীর
তাকিয়ে রয়েছে, দ্যাখে একজন লোক অবিরাম
খুঁড়ছে অন্তর তার। মাঝে মাঝে অন্তর্গত
কাজল মৃত্তিকাখণ্ড করছে পরখ দূরে
সুতীক্ষ্ম অভিনিবেশে শেষে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে।
খুঁড়ছে, খুঁড়ছে নিজেকেই অন্বিষ্ট হীরকখণ্ড সুনিশ্চিত
করতলগত করে নিতে; সময়ের জাল তাকে
ঘিরে ধরে, নিরুপায় খোদক কেবলি
খননে ভীষণ মেতে থাকে। চোখে তার
ক্লান্তির কুয়াশা জমে, হিম
ঘুমের চাদরে সমাচ্ছন্ন নিঃসঙ্গ খননকারী, কী নিথর
শরীর, মগজ আর নিস্তব্ধ হৃদয়। কিয়দ্দূরে
অনন্যা হীরকখণ্ড হাসে শুধু কৌতুকমিশ্রিত হাসি।