শত ডাকলেও উচ্চস্বরে আর মিলবে না সাড়া কোনওদিন,
কঠিন দেয়ালে মাথা খুঁড়ে মরলেও
তোমার প্রগাঢ় কণ্ঠস্বর
কখনও যাবে না শোনা। আমরা সবাই সমস্বরে বারবার
মিনতি জানাই যদি, তবু
কস্মিনকালেও আর মঞ্জরিত হবে না তোমার কণ্ঠে বাণী,
কবিতার প্রিয় পঙ্ক্তিমালা। এ কেমন
স্তব্ধতাকে আরাধ্য ভাবলে তুমি, গুণী
ডানে বামে অগণিত বয়সের হৈ-হুল্লোড়ে ডুবেছে নিমেষে
কোকিলের গান বারবার,
চতুর্দিকে ছিল বড় ঝগড়া ফ্যাসাদ;
প্রবঞ্চনা, জোচ্চুরি, সন্ত্রাস
মাথা তুলে সুরুচি এবং সংস্কৃতির
সম্ভ্রম লুণ্ঠন করে নরকের সূত্রপাত করেছিল, তবু
তুমি সত্য আর সুন্দরের, কল্যাণের ধ্যানে ছিলে
মগ্ন দিনরাত্রি, কিন্নরের মতো কণ্ঠে
খেলিয়েছ সুর আর ‘ধন্য ধন্য’ ধ্বনি
জেগেছে উৎকর্ণ ঘরে প্রহরে প্রহরে।
শ্মশান পারেনি বন্ধু তোমাকে পোড়াতে,
তবু এক ভয়ঙ্কর দাউ দাউ চিতা
বুকের ভেতর বয়ে নিয়ে গেছ বিদায়ের অতল আমায়
কাউকে কিছু না বলে সাধকের অপার ক্ষমায়।