সকালের রোদ মেখে খুশি মনে বাপের বাড়ি হাওড়া থেকে তিথি জন স্রোতে ভেসে
নিজের বাড়ি শেওরাফুলি ঢুকে ই দেখে পতিদেবতা চিন্তায় মগ্ন।গভীর চিন্তায় দুই হাত পেছনে জড়িয়ে সদরে দাঁড়িয়ে।
এতো ভাবনা কিসের অবান্তর ?
– ভাবনার কি আর শেষ আছে?
ভেবেছি অনেক কিছু,তোমাকে নিয়েই তো
যত ভাবনা আমার।
‘তুমি কি করছ?
কি খাচ্ছ?
কেউ তোমায় কোন কিছু বলে
দুঃখ দিলো কি না?
তোমার কথার গুরুত্ব দিলো কিনা?
তোমাকে সন্মান দিলো কিনা?’
এইসব নানা কথা, আর কি !
– এইসব ভেবে কি লাভ বল?
কাজ ছিল না আর কোন?
– কি কাজ ছিল,ভাবতে ভাবতে
ভুলে গেছিলাম তো !
মনে পড়ছে না এখনও ।
– এইসব বাজে কথা না ভেবে
দাড়িটা পরিষ্কার করতে পারতে,
যাবে বিয়েবাড়িতে আজ, খেয়াল হয়নি
একবারও তা?
আসলে দাড়ি তো নিজের চোখে পড়ে না।
– আর পড়বে কি করে?.
চোখ জুড়ে কেউ, যদি আঠার মতো লেগে থাকে?
– যত প্যাচাল কথা। চোখে পড়ে
না?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখলেই পারতে?
– আমি তো আর আয়না দেখি না,
তোমার চোখে দেখি নিজেকে।
– আবার এই সব আবেগী আর
ন্যাকা ন্যাকা কথা শুনতে ভাল লাগে না আর।
– রাত পাখিটা ডাকছে দূরে
আমি আছি ঘুমের ঘোরে
আদর মেখে সারা গায়ে
মাথা রেখে স্বামীর পায়ে
পাখি বলছে আর যে কথা
ঢুকছে কানে কি আর তা?
যবনের মতো একগাল দাড়ি নিয়ে তোমার সাথে
বিয়েবাড়ি যাব আমি ভাবছো তোমার সাথে! পারি না একদম তা ভাবতে।
তাও যদি রবীন্দ্রনাথের মতো রাখতে।মাইকেলের মতো রাখলেও মন্দ হতো না।
হতো না তাতেও কোন আপত্তি
কাঁচা পাকা খোঁচা এমন
তোমার দাড়ি ডাকলো যে বিপত্তি।
দেখেছ কি ইয়াঃ বড় রামছাগল
সেও কেমন দাড়ি পাগল।
ভাগ্যিস রাখনি তার মতো
লোকে কত কি যে বলতো
পারি না ভাবতে আমি আর
বেশি কথা না বলে
তোমার দড়িটা নামাতে যাও চলে।
হা হা হা হা হা . . .