পাশের বাড়ির ছাদের কার্নিশে অসুস্থ
একটা কাকের ঝিমুনি,
কে যেন গলিপথে পুরনো দিনের সুর
গুনগুনিয়ে যাচ্ছে হেঁটে।
অদূরে বারান্দায় বোবা যুবতী
খোঁপায় সাজায় রক্তগোলাপ।
ওর চোখ, দু’টি হাত কেমন
বাঙ্ময় হয়ে ওঠে গোধূলি-রঙে;
আকাশ আর দিগন্তের নিজের কিছু কথা
শোনায় ঠোঁট না কাঁপিয়ে।
আমি এই পড়ন্ত বেলায় আমার
লেখার টেবিলে ঝুঁকে লিখছি; বিছানার
শাদা চাদরে প’ড়ে থাকে
সুর্মা রঙের এক পালক-আলেফ। বন্ধ
দরজায় কে যেন ধাক্কা দেয়,
চমকে উঠি জোর করাঘাতে।
লেখা থামিয়ে শব্দ শুনি একবার, দু’বার, তিনবার,
বেশ কয়েকবার।
শব্দটি কালো, গাঢ় কালো,
কখনও খুব কাছে আসে, কখনও
কোথাও দূরে বিলীন।