অনেকদিন তো হল, বাইরের ঝড় থেমে গেছে ,
ঘরে বন্দি থেকে শরীর তো জড়ভরত,
যাপিত দিনগুলো আলুনো তরকারি ।
সেই চেনা চার দেওয়াল, উই ধরা কড়ি বরগা ,
পাল্লা বেঁকে যাওয়া জানালা ,
শুধু একটু জমে থাকা ঝুল ঝেরে নিতে হবে।
তারপর জলের বোতল আর মুড়ি চানাচুর ব্যাগে পুরে উঠে বসব ট্রেনে , গন্তব্য – পৃথিবীর শেষপ্রান্তে থাকা দিকশূন্যপুর ।
আগের মতই একটা নিটোল গাঁ ,
ধুলোর রাস্তা, হাঁসের জলকেলি,ধানগাছ ছুঁয়ে ছুঁয়ে প্রকৃতির ঘ্রাণ নিয়ে সতেজ হদিস ।
তোর বই খাতাগুলো তারপর থেকেই বশ্যতা স্বীকার করত।
তোকে ফের একবার চন্দনের ফোঁটা দিয়ে সাজাব,
ফটোটা কাঁধের ঝোলা ব্যাগে নিয়ে অচিনপুরের শষ্যক্ষেতে নেবে পরব, বুক ভরে নিবি টাটকা অক্সিজেন, যা তোকে হাসপাতাল দিতে পারেনি।
যখন তোর পা দুটো ক্লান্ত হয়ে যেত ,
সেই আগের মত কাঁধে তুলে নেব ।
ফিরব তারাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ,
বাড়ি ফিরে একপ্রস্থ বকুনি খাব একসঙ্গে দুজনে।
আজ সবই আছে , শুধু ……..
শুকিয়ে যাওয়া চন্দনের ফোঁটায় সেজে তুই হাসছিস ।
এলি তো দুদিন হল , তোর পায়ের ছাপ ভিজে মাটিতে আঁক কষে গেল না — কিন্তু তুই চলে গেলি ।
আজ দিকশূন্যপুর শূন্য , পাখিগুলো তোর কথা জিজ্ঞেস করে , ধানগাছরা জানতে চায় তোর কথা ,হাঁসগুলো অবাক চোখে আমাকে দেখে ।
ঘরেতে একটা চলমান পাথরের মূর্তি যান্ত্রিক ভাবে দিন কাটাচ্ছে ।
বলবি কি এমন কি তাড়া ছিল তোর ?
ডাক্তারের না হয় অর্থের দরকার ছিল ,
আর তোর ….. ?
বড্ড স্বার্থপর তুই , ভাবলি না আমার কথা ।