তবু চাঁদ হেসে ওঠে, কেঁদে ওঠে পেঁচা;
যে সৃষ্টির আদি ক্ষুধা আছে তার দেহে
সে জানায় বিদ্রোহ, ইঁদুর পড়েনি তার চোখে।
নিষ্ফল বেদনায় ভরে যায় ইঁদুরের মন।
তবু আয়ু বাড়ে এক রাত—-,
মায়া বাড়ে, ব্যথা বাড়ে,
ডিম্বকোষে মেশে শুক্রকীট,
আর একটি সন্ততি বাড়ে।
ভয় ও বাড়ে,—
জানে শোষণ হবেই-,–।
তবুও তো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা!!
সেটাও তো লড়তে হবে।
যদি পারে টিকে যাবে।
নতুবা পেঁচার তীক্ষ্ণ নখর ভিন্ন করবে তাকে।
সে জানে—
আরো সে যে জানে,মৃত্যু তার জীবনের সাথী।
মাঝে মাঝে অভিশাপ দেয় তবু হৃদয় নিঙাড়ি,
যারা আলো দিয়ে কেড়ে নেয়,
যারা প্রতিশ্রুতি দেয়—-
উন্নত হবার আহ্বান যারা করে,
তারপরে, কার্য সিদ্ধি হয়ে গেলে পরে
ফেলে দেয় সমাজের নর্দমার ধারে!
স্বার্থপাশ যাদের আড়াল করে দেয়
বিবেকের সাথে মনের, ধনীর সাথে নির্ধনের
নেতার সাথে আম জনতার!
অভিশাপ তার ব্যর্থ হয়ে যায়—
যখন সে দেখে,
চাঁদের সাথে পেঁচার শত্রুতা শুধুই জ্যোৎস্নায়!
অমাবস্যায় দুজনের হৃদ্যতা
বিবেকের অন্তরালে, সকলের চোখের আড়ালে।
মানবিক শিশু কাঁদে সকাল বিকাল,
বিচারের আশায় আশায় কাটে দীর্ঘকাল,
দিন চলে যায়, বছরও সে ঘুরে যায়
অসহায় হয়ে বসে ভাবে,
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে!
অসহায় ইঁদুর;
পালাতে পারে না দূরে—
আছে খাঁচাকল!
নতুবা পেঁচা এসে বসে কোনো ডালে!!!