নাওয়া
দিনের পর দিন যাচ্ছে, স্নান করি না।
মাস পেরোচ্ছে, গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে,
স্নানের তবু কোনও ইচ্ছে জাগে না,
কেনই বা স্নান করবো, কী লাভ স্নান করে..
এক অদ্ভুত অনীহা আমাকে অধিকার করে রাখে।
খাওয়া
তিনবেলা লোক আসে খাবার নিয়ে
পছন্দ হোক বা না হোক, খেতে হয়।
না খেয়ে যদি বাঁচা যেত–
বলে দিতাম কাল থেকে যাই দিক, অন্তত খাবারটা যেন না দেয়।
ঘুম
ঘুমোতে যাবার আগে ভয় হয়, যদি কিছু হয়!
যদি আর না জাগি!
ঘুমোলে চমকে চমকে বার বার উঠে যাই, আশেপাশে তাকাই,
আমার ঘর কি এ ঘর? না, এ আমার ঘর নয়।
নির্বাসন নেহাতই একটা দুঃস্বপ্ন, এ সত্যি নয়–
এই স্বপ্নটি সারাদিন দেখি,
ঘুমোলে স্বপ্ন যদি উবে যায়, ঘুমোতে ভয় হয়।
হাঁটাচলা
চার দেওয়াল ঘেরা ওই চতুষ্কোণ ঘরটির মধ্যেই
হাঁটাচলা করো যদি নিতান্তই করতে হয়–
এরকমই আদেশ এসেছে।
ঘর ঘরের মতো পড়ে থাকে, আমি এক কোণে আদেশে অবশ হয়ে,
স্তব্ধ বসে ভাবি, বিশাল বিস্তৃত এই পৃথিবী, কবে থেকে এত কৃপণ হল।
দেখা সাক্ষাৎ
জেলেও শুনেছি কিছু নিয়ম থাকে,
দেখা সাক্ষাৎএর সময় ইত্যাদি নাকি থাকেই,
আমারই কিছু নেই। স্বজন বন্ধু বলতে কিছু থাকতে নেই এক আমারই,
জেলের সুবিধে চেয়ে আবেদন করি প্রতিদিন, নিরুত্তর ভারতবর্ষ।