নদীর জলে পা ডোবাতেই, হাল্কা স্বরে কে শুধালো-
এই মেয়েটা নাম কি রে তোর?
এধার ওধার চেয়ে দেখে মেয়ে-
কে বলল কথাগুলো!
আর এক পা যেই জলে দেবে,
আবার এলো কথা ভেসে-
ঠিকানা কি তোর?কাদের কুলের বৌ লা রে তুই?
আ মলো যা! জানে না যেন! কে লা রে তুই? এমন করে ফিসফিসিয়ে কথা বলিস?
সামনে আমার আয় তো দেখি!
জলের উপর ছায়ায় দেখি
আমার মতোই আর একটা মুখ,
জলের নীচে আছে চেয়ে!
চাপা স্বরে আবার বলে- আমাকে তুই চিনলি না কি?
আমি যে তোর ছোট্ট বেলার সই রে, লা মেয়ে!
তুই আমাকে ভুলে গেলেও
আমি কি আর ভুলতে পারি?
তবে কেন জিগাস আমায়!
কুলের কি নাম? বাড়ি কেথায়?
সবই তো তুই জানিস দেখি! শুধুই কি তোর খামখেয়ালি?
না কি আছে অন্য কারণ?
কথাটা তুই বলিসনি ভুল; সত্যি করে বল দেখি মেয়ে, আছে কি তোর কোনো বাড়ি ?
বাবার ঘরে ছিলি যখন পদবী’টা ও অন্য ছিলো।
শশুরঘরে এলি যেদিন, নাম, পদবী সব হারালো।
তবু দেখ তোর গরব কতো!
স্বামীর নামে পরিচিতি, শশুরবাড়ি আঁকড়ে মাটি।
কোথায় পাবি নাম ঠিকানা! স্বামীর ঘরটা হারায় যদি ?
বলে কি ও! জানলো কিসে! আমার মনের গোপন ব্যথা!
বলি কি মেয়ে; যা ফিরে যা এখান থেকে। নিজের জন্য বাঁচ দেখি তুই!
বাঁধন গুলো আলগা হলেও চাইবি না আর বাঁচার মরন।
পরগাছা হয়ে বাঁচার তাগিদ এক তুড়ি’তে দে উড়িয়ে।
নিজের পায়ে উঠে দাঁড়া।
থাকবো আমি তোরই সাথে চিরটা কাল; তোর আপন ছায়া হয়ে।