পূর্ণিমার রাতটা হারিয়েছিল, তোমার খোলা
চুলের আড়ালে ,
ধ্রুবতারা পথ ভুলেছিল তোমার মুখকে পূর্ণিমার চাঁদ ভেবে ,
সারা পাড়ার লোক আমাকে প্রশ্ন করেছিল,
” তারা কি তোমাকে দেখছে না পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে আকাশ আঙিনায়”।
মুচকি হেসেছিলাম, উত্তর দিই নি,
সংযুক্তা, তুমি তো জান, কেন চুপ ছিলাম,
কেনই’বা মুচকি হেসেছিলাম !
বহুবার বলেছি যে কথা, ফের একবার বলি –
আমার চোখদুটো খোলা থাকবে মৃত্যুর পরেও,
যে চোখদুটো সবসময় অপেক্ষা করত তোমাকে দেখবে বলে ।
তুমি আমার মনকে শাস্তি দিতে চেয়েছ,
দোহাই তোমার, শাস্তি দিলে হলে চোখদুটোকে দিও,
মনটাকে ছেড়ে দাও ,
তাকেও সুযোগ দিও তোমার কথা ভাবতে, নিজের মত করে ।
সংযুক্তা, রাখবে তো আমার কথা ?
জানি’না মনে রাখবে কি’না,
তবুও তোমার গান গেয়ে যাব।
হাতে হাত না রেখে হাঁটব শত যোজন ,
শুধু দেখতে তোমার উজ্জ্বল মুখ আমাকে পেয়ে ।
আর যদি নাই’বা মনে আসে আমার নাম ,
চিন্তা নেই দেখা হবে সেই কবরস্থানে ,
যেখানে তোমার নাম আজও করছি চিরনিদ্রায়।
আর বসন্ত তোমার হয়ে পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ফেলে যাচ্ছে আমার কবরে ।
ভাল থেক সংযুক্তা, তোমার মত করে, তোমার অধিকারে ।