প্রিয় বরেষু, কী লিখি তোমায়
এ শহরে আসিয়া কেমন যেন চমকাইয়া গেলাম,
কোনদিকে সূর্য ওঠে তা ঠাহর করিতে পারি না
কখন যে ভোর হয় তা বোঝাও দুষ্কর,তবু আপাতত আমি কুশলে আছি ; নতুন চাকরি তাই বুঝিয়া লইতে একটু কষ্ট হয়, সেদিন গঙ্গার ঘাটে গিয়া সব ওলট পালট হইয়া গেল, গঙ্গার বুকে এত মানুষ, এত স্টিমার যান, আমাদের গাঁয়ের বাকলার মত শান্ত না,গঙ্গার পাড়ে কাশফুল আর গঙ্গা ফড়িঙের জায়গা নাই, এত মানুষের ছোটাছুটি, মনটা একটু অন্যরকম হইয়া গেল ; তবে এখন আর নাই
ছুটির পর গড়ের মাঠ, রাতে ভজাদার মেসের আলুপোস্ত এখন আর আমার খারপ লাগে না।
তবে খারাপ লাগে শুইয়া যখন ছেলেটার স্বপ্ন দেখি
তখন ঘুম ভাঙলেও জানালার ফাঁক দিয়া আকাশ দেখা যায় না, তখন একটু কষ্ট হয়, তবে এ টাকায় এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা এ শহরে আর নাই।
তোমরা কুশলে থাকিও, টাকা পাঠাইলে ছেলেকে একটা ঘুড়ি কিনিয়া দিও, এ সময় একটু খেলা করুক, মার যত্ন করিও, ইতি – তোমার প্রাণনাথ।