চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩৯
বাড়িতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায় সুমেধার, ফেরার পথে হঠাৎ নীতার সঙ্গে দেখা, নীতাকে সুমেধা রিক্তার কথা বলতে গিয়ে চুপ করে যায়, তারপর আস্তে আস্তে বলে অফিসে একটা বড়ো প্রবলেম চলছে তবে বসকে আগেই বলে রেখেছে ওর কথা, আরেকবার বলবে সময় সুযোগ বুঝে । রিক্তার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করাই ভালো, তবে যেন খুনী ধরা পড়ে, পরক্ষণেই তদ্ভবের কথা মনে হয়,ওর স্ত্রীর সঙ্গে কোনোদিন দেখা হয় নি, তদ্ভবের কথা পুলিশের কাছে আলাদা ভাবে কিছু জানায়নি কিন্তু এই অবস্থায় যদি তদ্ভবকে পুলিশ জেরা শুরু করে কি হবে !! মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে,এক সময়ের কাছের মানুষগুলো কেমন পাল্টে গিয়ে অচেনা হয়ে যায়, রিক্তাকে যদি আরো আগে সাবধান করতো মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করতে করতে এতো কম বয়সে প্রাণটা হারালো, নিজের বাবা মায়ের কথাও যদি একটু ভাবতো…. হঠাৎ একটা বেলুন ওলা বেলুন বিক্রি করছে দেখে জোজোর জন্য একটা বড়ো বেলুন কিনে বাড়িতে ফেরে। শাশুড়ি মা কিছু জিজ্ঞেস করেন নি, সুমেধা ফ্রেশ হয়ে জোজকে পড়তে বসায়। একটু রাতে দেবাংশু ফিরে আসে, রাতে খাওয়ার সময় রোহনদের কথা বলতে বলতে রিক্তার খুনের ঘটনার কথা দেবাংশুই গোমতী দেবীকে জানায়, গোমতী দেবী বলেন কি সাংঘাতিক, মানুষের প্রতিশোধের আগুন কত হিংস্র হতে পারে!!