চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩৬
দেবাংশু বাথরুমে যাবার পর সুমেধা আস্তে আস্তে উঠে যন্ত্রের মত অফিসের ব্যাগ হাত বাড়িয়ে নেয়, মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করে, মনে মনে বলে কে এতো বড় অপরাধ করতে পারে, তদ্ভব কলকাতা ছেড়ে আগেই চলে গেছে, রিক্তার ফোন ব্লক করেছে আগেই সেক্ষেত্রে কি কোনো নতুন ঘটনা ঘটেছে? পর মুহূর্তে ভাবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কাছে কি বলবে? দেবাংশু বাথরুম থেকে স্নান সেরে বেরিয়ে এসে বলে যেটুকু রিক্তা সম্পর্কে জানো পুলিশকে বলবে,ভয় না পেয়ে। সুমেধা অল্প মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। দেবাংশু: আমি মাকে পরে বুঝিয়ে বলবো , চলো আমরা রওনা দি। দেবাংশু আগে নিচে নেমে এসে গোমতী দেবীকে বলে সুমেধাকে অফিসে যেতে হবে হঠাৎ একটা জরুরী কাজে, তুমি এই নিয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য করবে না, আমি সুমেধাকে অফিসে পৌঁছে দিয়ে পিসির বাড়ি যাবো,আমরা রাতে ফিরে সব জানাবো। গোমতী দেবী ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে ঠিক আছে। নিজের ঘরে ইতস্তত ভাবে দু একবার ঘোরাঘুরি করে সুমেধা, কোনোভাবে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে, তবু রিক্তার মুখটা যেন ভেসে ওঠে, মোবাইলটা হাতে নিয়ে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে। গাড়িতে দেবাংশু লক্ষ করে সুমেধা কোনো কথা বলছে না, অফিসের সামনে পৌঁছলে সুমেধার হাতে আলতো চাপ দিয়ে বলে,যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে না, আমার রিক্তার সঙ্গে কোনোদিন দেখা হয় নি, তবু কষ্ট পাচ্ছি, আমি চাই খুনী শাস্তি পাক, তবে একটা কথা মনে রেখো যে কোনো পরিস্থিতিতে আমি তোমার সঙ্গে আছি,থাকবো….