চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩৫
চাপা কান্না দলা পাকিয়ে যেন শ্বাসরোধ হয়ে আসে সুমেধার, ফুঁপিয়ে ওঠে সুমেধা , ভাবতে পারে না রিক্তা আর নেই, দুহাতে নিজের মুখ চেপে ধরে কাঁদতে থাকে। দেবাংশু স্নানের জন্য ওপরে এসে সুমেধাকে কাঁদতে দেখে হতভম্ব হয়ে যায়, কাছে এসে বলে কি হয়েছে,কাঁদছো কেন? সুমেধা দেবাংশুকে জড়িয়ে ধরে বলে রিক্তা, রিক্তা আর নেই, ফুলের মতো মেয়েটা খুন হয়েছে আমি ভাবতে পারছি না,আমায় এখনি অফিসে যেতে হবে, তারপর থানায়। দেবাংশু: কি বলছো, তোমার অফিস কলিগ, ওর বাবার শরীর খারাপ বলছিলে সেদিন,কি এমন ঘটলো যে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েটাকে খুন হতে হলো! সুমেধা কোনো উত্তর দিতে পারে না, দেবাংশু: নিজেকে সামলে ধাতস্থ হয়ে তবে যাও, পুলিশ অফিসার নানা ধরনের প্রশ্ন করবে, খুনী হয়তো আদৌ ধরা পড়বে না তবুও একটু ভেবে চিন্তে উত্তর দিও,যদি কখনো রিক্তার কোনো ব্যবহার বা কথা জানানোর মতো হয় তবে নিশ্চয়ই বলবে, প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনে অনেক কিছুই এমন ঘটে যার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকি না, অনেক কাছের মানুষকে হারাতে হয়, সুমেধার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে তুমি একা অনেক সমস্যার সমাধান নিজে করেছ, এবারো পারতেই হবে তোমাকে, আমি তোমাকে অফিসে পৌঁছে দেব, তারপর পিসির বাড়ি যাবো, তাড়াতাড়ি স্নান সেরে আসছি।