এখনই যেন ডালপালা ছেঁটে ছেঁটে ফাঁকা করতে চায় সময়,
আগাছায় কিছু হায়না দম নেয় পরবর্তী শিকারের অপেক্ষায়।
নিরীহ জোনাকি দুঃস্বপ্নের ডানা মেলে তাকায় –
ভীত,চকিত চোখের তারায়।
বাজারে অনেক স্বপ্ন ঢেলে সাজায় বিজ্ঞাপনে,
কিছুটা নগ্নতা ,তারসাথে কামনা মাখিয়ে স্বপ্নের সওদাগর, দোরে,দোরে ফেরি করে।
যখন পশ্চিমে ঢলে পড়ে সূর্য একবুক অভিমানে
তখন সমস্ত স্বপ্নগুলোই অনলাইনের বিপনির প্রচারসর্বস্ব ,
বিপদতারণও কি দেহবৃন্তের ছায়ায় পরম আয়েসে নেশাচ্ছন্ন।
তুমিও কি বটবৃক্ষের আচ্ছাদনে প্রেমানন্দে আচ্ছন্ন?
সমুদ্রের ঢেউ ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে আসে পাঁজর ভেদ করে,
বুক ভাঙা পাড় ঝাউবনে এখনও স্বপ্ন চুষে,শুষে খায়
আর একদল রক্তের তুলিতে মৃত্যুর ক্যানভাস আঁকে।
সহস্র ছোবলে দেখি ধূর্ত মিত্রের হাসি
ফাঁকির হাতখানি ঢেকেছে নিরীহ ও আঁখিপল্লব,
আখের গোছানোর আগে গুনছে মৃত ইতিহাসের কংকাল ,
সাক্ষর চায় প্রতারণার প্রতিশোধ প্রবঞ্চনার।
আমি যে নিঃস্ব হতে চাই প্রেমের ঠোঁটে, শূন্যবুকে –
একফোঁটা শান্তির অন্বেষণে মরা ঝাউবনে খুঁজি –
সঙ্গমরত গাংচিলের উজ্বল সাদাডানা।