গল্পের বই
কিছু দিন আগে ভাষা দিবস পালিত হল। তবে বাংলাদেশের বা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় পৃথিবীর অন্য প্রান্তে এর আনন্দ অনেকটাই ম্লান।হয়ত
এই সংকটে এটাই স্বাভাবিক! তবে মাতৃদুগ্ধের মতো মাতৃভাষার যে সহজাত প্রাকৃতিক বন্ধন তার
জন্য প্রত্যেক ভাষাই নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে মহীয়ান। তা
তার মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ। আমার সামান্য অভিজ্ঞতায় তিনটি আধুনিক ও দুটি প্রাচীন ভাষার
সঙ্গে একটু আধটু পরিচয় হলেও আরও একটা কারণে বাংলা ভালোলাগে। মনে হয় তা সর্বজন স্বীকৃত বাংলা গল্প। ইংরাজি সাহিত্য অবশ্যই শ্রেষ্ঠ
তার সুবিশাল রসদের জন্য। “ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না।” এই কথাটা এক সময় যাদের বলা হত, পৃথিবীর রকমারি জাতি ও জীবনের সব কিছু
জানকারি তাদের সাহিত্যেও বিরাট মূলধন হিসেবে কাজ করেছিল। তাই তার শ্রেষ্ঠত্ব অস্বাভাবিক নয় ।
কিন্তু বাংলার সাহিত্যিকরা সেই রসদ ছাড়াই শুধু
কল্পনা ও আবেগের লেখনীতে যে গ্রন্থাবলি উপহার
দিয়েছেন ছোট চার দেয়ালের মধ্যে বা হ্যারিকেনের আলোয়, জানিনা তা অন্য সাহিত্যে এতটা সম্ভব হয়েছে কিনা! মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, বঙ্কিমের “কমলাকান্তের দপ্তর” বা রবি ঠাকুরের “য়ুরোপ যাত্রীর ডায়রি” থেকে বিভূতিভূষণ, সত্যজিৎ, অদ্রীশ বর্ধন বা প্রেমেন্দ্র মিত্র অ্যাডভেঞ্চার বা স্ক্রিপ্ট রাইটারদের তুলনায় কম তো নয়ই বরং তাদের কল্পনা কোনো কোনো সময় বাস্তব অভিজ্ঞতার বর্ণনাকেও হার মানায়। আরো আশ্চর্য যে এই সিনেমা বা অ্যানিমেশানের যুগেও এর চাহিদা ক্রমবর্ধমান যা সেল্ফ থেকে নিয়ে পড়ার পরেও বহুক্ষণ মনের মধ্যে তার রেশ রাখতে সমর্থ ।