খাঁচার অট্টালিকায় থাকা ময়না জানে; আকাশের দৈর্ঘ্য, প্রেমিকের হৃদয়
একদল কাকতাড়ুয়া আজীবন আকাশ দেখতেই শুয়ে থাকে মাটিতে। দৌড়ে বেড়ায় উরুগুয়ে থেকে অ্যান্টার্কটিকা, হিমালয় থেকে মারিয়ানা
পৃথিবীর গোলাকৃতি নিয়ে ওদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ওরা জানে, আকাশ বড়, ভীষণ বড়।
সীমা নেই, বৈষম্য নেই, বিদ্বেষ নেই, প্রেম নেই;
অথচ ওরা শূন্যই ভালোবাসে।
আরেকদল, প্রেম বোঝে। ভালোবাসায় শুন্য নেই যাদের
হাতে হাত রাখলে প্যারিস, চোখ চোখ রাখলে মন্দারমণি এসে দাঁড়ায় উঠোনে
দোতলার ছোট্ট কামরায় আকাশ লেখা, হাতের মধ্যে এঁকে রাখে আয়ুরেখা, ভবিষ্যত।
আজীবন মাথা হেঁট করে স্বর্গ দেখে চলে, প্রেম থেকে মাথা তুলে দেখেনি আকাশ কত বড়!
আমি মাঝের ঘরে থাকি। অযোগ্য, বিদীর্ণ, অর্বাচীন
আকাশ, প্রেম কেউ কোনোদিন ছুঁয়ে দেখেনি আমায়। বিরক্ত হই জীবনের প্রতি
অট্টালিকার ময়নাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি, কে বড়-
আকাশ, নাকি প্রেম?
একি, ওর শ্বাসকষ্ট শুরু হলো কেনো!