কোথায় চলেছি এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে? জানি না
কতটা
পথ আরো বাকি; এদিকে তো পথিকের
পাথের ফুরিয়ে এল প্রায়। নাছোড় তেষ্টায়
শুকিয়ে এসেছে গলা, এক ফোঁটা পানি নেই এখানে
কোথাও।
খানিক জিরিয়ে নেব, তার জো গায়েব। পড়ি মরি
কদম বাড়াতে হবে প্রতি মুহূর্তেই। যতক্ষণ
বুকে জীবনের ধুকধুকি আছে, ভবিষ্যৎ পাশা
খেলবে চালিয়ে যেতে হবে নিত্যদিন, মুখে হাসি
ফুটিয়ে রাখার রঙচঙে ভড়ং সাজিয়ে আজও।
কীসে যেন হঠাৎ ঠোকর খাই, মানুষের হাড়
নাকি অন্য কিছু আচমকা
আমাকে দেখতে চায় ভয়। মনে হয়, চারদিকে
থেকে মাতালের মতো টলতে টলতে
আসছে আমার দিকে কতিপয় সফেদ কঙ্কাল। জেগে উঠি,
মেরুদণ্ডে ভীষণ শীতল জলধারা বয়ে যায়।
মাথা ঘোরে প্রচণ্ড গতিতে, খাবি খাই খরাপীড়িত
মাটিতে।
কখন যে চেতনা পেলাম ফিরে, বলা মুশকিল;
জেগে দেখি
অপরূপ আসমান সস্নেহে আমাকে
করাচ্ছে কোমল স্নান সত্তায় জ্যোতিধারা মেখে।
এই যে বলছি স্মিত কথা, এসব কি সত্য নাকি
স্বপ্নের ভগ্নাংশ কোনও? অথবা পাঁচালি
কাল্পনিক?