মাই লাই গ্রাম
তাকে চিনলাম
রক্তপাত আর নারকীয় ধ্বংসের মধ্য দিয়ে। বারবার
মাই লাই জ্বলে দাউদাউ মগজের মানচিত্রে।
ঘরপোড়া মানুষের লাশ অবিরত
হানা দেয় চেতনার শোকার্ত পাড়ায়।
মাই লাই তার সব বাসিন্দা হারায়
হিংসার সংকেতে;
মৃত্যু কালো বৃষ্টির মতোন ঝরে ঘরে, মাঠে, ক্ষেতে।
মাই লাই গ্রাম
একটি শোণিতস্নাত, ভস্মমাখা নাম।
সেখানে খেলত শিশু বৃদ্ধ, গ্রাম্যজন
কাটাতেন অতীতের সুস্নিগ্ধ জাবর, অঘটন
ঘটলেও রাখতেন আস্থা ভবিষ্যতের ওপর।
পাখির টোপর
দেখে শিশু দিত করতালি, গ্রামবাসী
শ্যামল শান্তির ঘন ছায়ার প্রত্যাশী।
প্রণয়ে বিশ্বাস রেখে যুবক-যুবতী
ভুলেছিল জীবনের খুচরা কিছু ক্ষতি
নানাবিধ। শিশুরা উৎসবে চেয়ে কেক, পুতুলের ভেট
পেল আগুনের জ্বালা, অজস্র বুলেট,
বোমারু প্লেনের কত ঝাঁঝালো ধমক। ভাঙা পাত্র, টিন, ছাই,
চুলের রঙিন ফিতে, পোড়া মাংস, সেফ্টিপিন-এই-ই মাই লাই।
আজকাল যেদিকেই উদাস তাকাই,
বাংলাদেশে দাউদাউ কতো মাই লাই।