ক-এর আঙুল থেকে একটি কী পথ বহুদূরে
গ্যাছে বেঁকে চিত্রবৎ, বৃক্ষশ্রেণী যেন দেবদূত,
পৃথিবীর নিসর্গের বন্দনায় কেমন নিখুঁত
সৌন্দর্যে এসেছে নেমে আসমান থেকে নম্র উড়ে।
ক-এর ওষ্ঠের তটে তৃষ্ণার্ত হরিণ ঘুরে ঘুরে
ফিরে যায় বারংবার জলকষ্টে, হিংস্র পদচ্ছাপ
চোখের নিচের বালিয়াড়ি ধরে রাখে, হলদে সাপ,
কেবলি দলতে থাকে সাবলীল তার গলা জুড়ে।
সে পথের কাছে আজ ক-এর কী বলার আছে?
পথ বড় উদাসীন, নিশ্চুপ সর্বদা। তার ভাষা
বুঝলেও কখনো দেবো না সাড়া; ক-এর মুখের
ভেতরে আদিম জলপরী এবং কিন্নরী নাচে,
পাঁজর-প্রান্তরে বুকভাঙা ডাক ঘোড় সওয়ারের।
সে-পথ রাখে না মনে কারো চলে-যাওয়া,ফিরে-আসা।