কুড়ি দিনেই শেষ হয়ে গেল
ঐন্দ্রিলার লড়াই।
তারা হয়ে চলে গেল, তারাদের দেশে।
অকুতোভয় তারকা আপন বিভায়,
আপন স্বকীয়তায় ছিল
ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল।
মারণ রোগের বিরুদ্ধে
দু-দুবার লড়াই করে
জয়ী হয়ে ফিরে এসেছিল সে!
এবার ও তার দু-চোখে স্বপ্ন ছিল–
কালান্তক রোগের বিরুদ্ধে
লড়াই করে ফিরে আসবে সে!
চব্বিশটি বসন্ত পার করে আবার সে
পঁচিশের জন্মোৎসব পালন করবে,
জীবন যুদ্ধে জয়ী হবে।
বাঁচার অদম্য ইচ্ছা বুকে নিয়ে
অকালে যাকে চলে যেতে হলো।
সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে
তারুণ্যের জোয়ারে ভাসবে
আবার প্রিয়তমকে ভালোবাসবে,
এমন কতনা স্বপ্নছিল ঐন্দ্রিলার
দু,-চোখ জুড়ে!
স্বপ্ন দেখেছিল সে অমর সঙ্গীর
সঙ্গে ঘর বাঁধার।
যে ছিল তার ছায়াসঙ্গী,
অঙ্গীকার করেছিল সে,হাত না ছাড়ার,
কথা দিয়েছিল,নিজ হাতে নিয়ে এসেছি ,
নিজ হাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার!
কিন্তু নিষ্ঠুর বিধাতা!, শুনলো না,
মানলো তাদের অন্তরের কথা!
নিয়তিকে কে পারে রোধিতে?
কে জানত এভাবে তার
স্বপ্ন ভঙ্গ হবে,অকালেই সে
সকলকে কাঁদিয়ে জীবন
আকাশ থেকে খসে পড়বে,
চলে যাবে মরণের পারে!