একবৃন্তে দু’টি কুসুম
মা ও মেয়ে হিন্দু হয়েও মুসলমান পাড়ায় ভাড়া ঘরে থাকে। দুজনেই পরিচারিকার কাজ করে। পুতুলের মা নিজেদের ঘরের রান্না করে। সেদিন জ্বরে শরীর দুর্বল লাগায় পুতুলের মা উঠতে পারেনি।পুতুল পাম্পস্টোভ জ্বালতে যায়। স্টোভটি বাস্ট করে গুরুতর আহত হয়। এলাকা সংখ্যালঘু প্রধান। এই খবর পেয়েই এগিয়ে আসে মুসলিম ভাইরা। হাসপাতালেই সে মারা যায়।দেহ ময়নাতদন্ত হয়। পরিবারের কেউ না থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দেওয়া শংসাপত্র অনুযায়ী দেহ রহিম ভাইদের হাতে দেওয়া হয়। তারাই সৎকার করতে এগিয়ে আসে।যুগসন্ধিক্ষণে সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ না করে পুতুলের দেহ কাঁধে করেই শ্মশান যাত্রা করে রহিম ভাইরা।সেদিন ছিল নজরুল জয়ন্তী। গান ভেসে আসছিল মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।