স্বপ্নের নাভিমূলে সযত্নে ছড়ানো মিথ্যার বীজ,
এক পৌঢ় অন্ধকারে আবদ্ধ বিবেক
পুষে রেখেছে বিষের ঘ্রাণ,
আবর্জনার স্তূপের মত দুর্গন্ধময় স্মৃতির জঞ্জালগুলো
বয়ে চলেছে মস্তিষ্ক সমুদ্রের শোণিত ধারায়,
ক্রমশ মিশেছে অপার্থিব কল্পনার জীর্ণ দলিলের শেষ পৃষ্ঠায়।
চটা ওঠা সময়ের অনুর্বর ভূমিতে মিথ্যার চারাগুলি
অনন্ত-যৌবনের আহ্বানে মহীরুহে পরিণত হয়েছে,
স্বপ্ননীড়েও জেগেছে সংঘাত,
স্বার্থের ঘুণপোকায় সৃষ্টি করেছে ধুম্র জটাজুট,
অজানা এক কালবৈশাখীর আগাম বার্তা
লোভের তরী বেয়ে তরতর করে ভেসে আসে।
প্রতিমুহূর্তে পরাজয়ের গ্লানি নেমে আসে
শরীরের শিরা উপশিরা বেয়ে,
হিংসার তীব্র হুংকার শোনা যায় হৃদয়ের দুয়ারে,
এক অজানা ভবিষ্যতের সন্ধানে
স্বপ্নপুরীতে শুরু হয় বৈরিতা
নেমে আসে চরম নৈরাজ্য।
মস্তিষ্ক প্লাবিত করে সৌন্দর্যের রক্তিম পথ ধরে
হঠাৎ একদিন বিবেকের জাগ্রত দ্বারে
হাজির হয় দিগন্তের কালবৈশাখি,
উড়িয়ে সকল ঈর্ষার ধূলো
ভাসিয়ে সকল দ্বিধা-গ্লানি
অনন্ত মহিমার স্বপ্নকুঞ্জে উপহার দেয়
এক মুঠো শান্তির আগাছা,
উপহার দেয় প্রেমশীতল স্রোতস্বিনী,
উপহার দেয় নব তরুলতা ঘেরা স্নিগ্ধ প্রেমের বনানী।
জন্ম-মৃত্যু আলো-অন্ধকার সব
সেই স্বপ্নকূহরে বিলীন হয়ে সৃষ্টি হয়
নবচেতনার কাব্যধারা।
দগ্ধ স্মৃতিগুলো উপসংহার হয়ে
রয়ে যায় অতীত স্বপ্নের সোপানে,
সারা মস্তিষ্ক জুড়ে তীব্র বেগে বয়ে যায়
এ-এক অন্য কালবৈশাখী,
সকল স্থবিরতা কাটিয়ে জীবনকে
নতুন রূপে গড়ে তোলে সুনির্মল আলোকধারায়।