খুব ইচ্ছে করে আমি এই বাংলার রূপ নিয়ে
মাঝে মাঝে মুগ্ধতার উপমায় লিখি
উপমা নির্মাণে কত ছলকলা, কেমন সহজ
আহা অন্যরা জানে না
প্রকৃতিই প্রকৃতির উপমেয়, রংগুলি শব্দ মেখে
লেগে থাকে দিগন্তের এপারে ওপারে
তবু মালদার এক ভাঙন-উন্মুখ গ্রামে শঙ্খচিল ঘুরে ঘুরে
আমাকে যে উড়ালের আলপনা দেখায়
তার কোনো চিত্রকল্প ভাবার আগেই কেন
জীবনানন্দের প্রতি খুব রাগ হয়
চিল-কাব্য, নদী-কাব্য লিখে লিখে পরবর্তী প্রজন্মের
মাথাটি খেয়েছেন
ঐ যে মানুষগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে বাঁধে,
আঁকা বাঁকা ভঙ্গিমায়
ওদের কি উপমার অপমানে কবিত্ব ফলাতে পারে কেউ?
প্লাবনে দরজা ভাঙে, কবিতা ভাসে না বটে, কারা সব কাঁদে?
আরো দূরে, রূপ নেই, রস নেই, গন্ধ নেই, এ কোন্ জীবন?
হাত থেকে খসে পড়ে কলম, কাগজ, স্বপ্ন দেখি কৈশোরের
সেই কৈশোরের এক হাতে তরবারি, অন্য হাতে ধরা
শান্তি পারাবত!