সাহিত্যের জগতে ইন্দ্রপতন
রয়ে গেল শুধু অমূল্য সৃজন
বাজল ঘন্টা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়
‘ভালবাসা’নীড় শোকস্তব্ধ কলকাতায়।
ঊনিশ শত আটত্রিশ তেরোই জানুয়ারি
দক্ষিণ কলকাতায় জন্মেছিলেন এই নারী
সাহিত্যের আবহাওয়ায় শৈশবের দিনগুলি
সাহিত্যিকের আখ্যায় পুরস্কারের রংতুলি।
একমাত্র রবীন্দ্রনাথের ছিল তীক্ষ্ণদৃষ্টি ক্ষমতা
আশীর্বাদ করে নাম রাখলেন তার নবনীতা।
ঊনষাট সাল প্রকাশ পেল প্রথম কাব্যগ্রন্থ
‘প্রথম প্রত্যয়’
সেই বছরই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
স্বামীর আসনে বসলেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য
নোবেল জয়ীর অস্তিত্বে রচিত তার ভাগ্য।
আঁধার ঘনিয়ে ভাগ্যের পরিহাসে বিধাতার উত্তর
চির ধরা ভালবাসায় এল বিচ্ছেদ সাল ছিয়াত্তর।
মনোকষ্টে দাম্পত্য জীবনে টেনে রাশ
লিখলেন ‘আমি অনুপম’ কালজয়ী উপন্যাস।
আত্মজীবনী মূলক ‘নটী নবনীতা’ শ্রেষ্ঠ রম্যরচনা
অ্যাকাডেমি পুরস্কার সম্মানে তার নেই তুলনা।
তিনি ছিলেন কলোরাডো কলেজের প্রফেসর
অক্সফোর্ড রাধাকৃষ্ণাণ স্মারকের লেকচারার।
দুইহাজার সালে পেলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার
শরীর জুড়ে দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসার।
রুদ্ধশ্বাসে নিস্পন্দিত প্রোথিতযশা একাশি
সাত নভেম্বরে নিভিয়ে বাতি মুছলেন হাসি।
শোকাতুর হৃদয় স্তব্দ তাঁর প্রয়াণে
করজোরে জানাই প্রণাম তাঁর চরণে।