শহর-মরু বিজন বড়,
নীরব তো সব গায়ক পাখি।
আন্তিগোনে, আন্তিগোনে
রুক্ষ পথে ব্যাকুল ডাকি।
প্রেত নগরী নগ্ন, ফাঁকা,
নেই যে ভালো একটি প্রাণী।
দরদালানে, রাস্তা ঘাটে
ভাসছে শুধু মৃতের ঘ্রাণই।
আন্তিগোনে নামেই যেন
একলা চলার করুণ পথ।
আন্তিগোনে তুমিই জানি
বস্তু-ছেঁড়া নীল শপথ।
সান্ত্রী-সেপাই দিক পাহারা,
নগর-জোড়া থাক না ত্রাস।
তোমায় তবু শংকা কোনো
পারেনিকো করতে গ্রাস।
প্রহরীদের চোখ এড়িয়ে
খুঁড়লে মাটি ক্ষিপ্র হাতে,
সোদর তোমার তাই তো পেল
ক্ষণিক কবর ভুল প্রভাতে।
কোন সাহসে হেলায় তুমি
উড়িয়ে দিলে রাজার বিধান?
কিসের টানে রুদ্ধ গুহায়
আনলে টেনে দারুণ নিদান?
জানতে ক্রূর ক্রেয়োন তোমার
একনায়কী দণ্ড দেবে,
মৃত্যুপুরে দেবে ঠেলে-
দেখলে না তো একটু ভেবে।
সহোদরের ছিন্ন শরীর
করলে আড়াল সংগোপনে।
সৎকার সে তো উপলক্ষ,
অন্য কিছু ছিল মনে।
আন্তিগোনে দ্যাখো চেয়ে-
একটি দুটি নয়কো মোটে,
হাজার হাজার মৃতদেহ
পথের ধুলায় ভীষণ লোটে।
রৌদ্রে শুকার রক্তধারা,
মাংস ছেঁড়ে শবাহারী,
কে দেবে গোর দুর্বিপাকে?
নেই যে তুমি উদার নারী।