সোমভদ্র ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল
সোমভদ্র ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল।
শরীর সহিত কথা বলিবার পর তাহার মন নিরুদ্বেগ হইয়াছিল, সে গভীর নিদ্রায় অভিভূত হইয়া পড়িয়াছিল। একেবারে ঘুম ভাঙ্গিল যখন সূর্যোদয় হইতেছে। সে কিছুক্ষণ জড়বৎ বসিয়া রহিল, তারপর স্মৃতিশক্তি ফিরিয়া আসিলে মুখে অব্যক্ত শব্দ করিয়া দৌড়াইতে আরম্ভ করিল।
সেনাপতি অমোঘভল্লের ভৃত্যদ্বয় মেরুকাকে দোলায় তুলিবার উদ্যোগ করিতেছিল, এমন সময় সোমভদ্র সৈন্যব্যুহের সম্মুখে উপস্থিত হইল।
মেরুকা!
মেরুকা উচ্চকিত হইয়া দেখিল সোমভদ্র ছুটিতে ছুটিতে আসিতেছে। তাহার অন্তরের সমস্ত হতাশা কঠিন-তিক্ত বিদ্বেষে পরিণত হইল, চক্ষু হিমশীতল উপলখণ্ডের ন্যায় নিষ্প্রাণ হইয়া গেল। সে সোমভদ্রের দিকে পিছন ফিরিয়া দোলায় আরোহণের উপক্রম করিল।
সোমভদ্র ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলিতে ফেলিতে তাহার কাছে আসিয়া দাঁড়াইল—মেরুকা! তুমি কোথায় যাচ্ছ?
সেনাপতি অমোঘভলের ভৃত্যেরা সোমভদ্রকে চিনিত না, একজন রূঢ়হস্তে তাহাকে সরাইয়া দিয়া বলিল—সাবধান! দূরে থাকো।
সোমভদ্র ক্রোধ-দীপ্ত চক্ষে তাহার পানে চাহিয়া বলিল—আমি সেনানায়ক সোমভদ্র। তোমরা কে? একে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?
নাম শুনিয়া ভৃত্যেরা নরম হইল, বলিল—আমরা মহানায়ক অমোঘভল্ল মহাশয়ের ভৃত্য। মহানায়ক এই বন্দিনীকে নির্বাচন করেছেন। তাই ওকে তাঁর প্রমোদ-বাটিকায় নিয়ে যাচ্ছি।
মেরুকা তখন দোলায় উঠিয়া বসিয়াছে, দারুগঠিত মূর্তির ন্যায় দেহ কঠিন করিয়া বসিয়া আছে। সোমভদ্র একবার তাহার পানে চাহিল, একবার ভৃত্যদের পানে চাহিল। তারপর দৃঢ় আদেশের সুরে বলিল—তোমরা দাঁড়াও, চলে যেও না। আমি মহানায়ক অমোঘভল্লের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি।
সোমভদ্র দ্রুত ব্যুহমধ্যে প্রবেশ করিল। ভৃত্যদ্বয় ফাঁপরে পড়িয়া কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে মন্ত্রণা করিল, তারপর দোলা তুলিয়া লইয়া প্রস্থান করিল। তাহাদের কাছে প্রভুর আদেশই গরিষ্ঠ।
দোলার মধ্যে মেরুকা দারু-পুত্তলীর ন্যায় বসিয়া রহিল। নিয়তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে নাই, তাহাতে নিয়তি আরও নিষ্ঠুর হইয়া ওঠে। হয়তো এই বৃষস্কন্ধ প্রবীণ যোদ্ধার অন্তরে দয়া-মায়া আছে, হয়তো সে চিরদিনের জন্য তাঁহার গৃহে আশ্রয় পাইবে, হয়তো—হয়তো–
দূর্বাঘাসের মতো আশা মরিয়াও মরে না। বুদ্ধির দর্পণে অনিবার্য ভবিষ্যৎ দেখিয়াও মরিতে চায় না–
সোমভদ্র বন্দিনীদের আবেষ্টনীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিল, মহানায়ক অমোঘভল্ল একটি বন্দিনীর বস্ত্র মোচন করিয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিতেছেন। তিনি পাঁচটি বন্দিনী পাইবেন, এটি দ্বিতীয়। সোমভদ্রকে আসিতে দেখিয়া অমোঘভল্ল পরম সমাদরের সহিত তাহাকে সম্বােধন করিলেন—দেখ তো সোমভদ্র, এই বন্দিনীটাকে বেশ শক্ত-সমর্থ মনে হচ্ছে। আমার বিহার-নৌকার দাঁড় টানতে পারবে?
সোমভদ্র একবার বন্দিনীর প্রতি কটাক্ষপাত করিয়া নিরুৎসুক কণ্ঠে বলিল—পারবে। তারপর ব্যগ্রস্বরে কহিল—মহানায়ক, আপনার সঙ্গে আমার আড়ালে একটা কথা আছে।
মহানায়ক অমোঘভল্ল ঈষৎ বিস্ময়ে একটু সরিয়া আসিয়া বলিলেন—কি কথা?
সোমভদ্র অধর লেহন করিয়া বলিল—মহানায়ক, যে-বন্দিনীকে আপনার ভৃত্যেরা নিয়ে যাচ্ছে, সে—সে—
অমোঘভল্ল বলিলেন—যে বন্দিনীটার নাম মেরুকা তার কথা বলছ?
হ্যাঁ মহানায়ক। মেরুকা—আমি—আমি তাকে নিতে চাই। তাকে–
অমোঘভল্ল উচ্চকণ্ঠে হাসিয়া বলিলেন, এখন আর হয় না বন্ধু। আমি তাকে হস্তগত করেছি। জানো তো, যে আগে আসে সে আগে পায়।
সোমভদ্র বলিল, কিন্তু আপনি আমাকে এই অনুগ্রহ করুন ভদ্র। আমি মেরুকাকে বিবাহ করতে চাই।
অমোঘভল্লের হাস্যমুখ সহসা গম্ভীর হইল। তিনি বলিলেন—বিবাহ! তুমি একটা বিদেশিনী বন্দিনীকে বিবাহ করতে চাও!
সোমভদ্র অবরুদ্ধ কণ্ঠে বলিল—হ্যাঁ মহানায়ক, আমার হৃদয় মেরুকাকে চায়। আমি তাকে বিয়ে করে সংসার পাততে চাই।
অমোঘভল্ল ক্ষণকাল স্তব্ধ থাকিয়া প্রশ্ন করিলেন—তোমার গৃহে ভগিনী নাই?
সোমভদ্র চক্ষু নত করিয়া বলিল—আছে ভদ্র।
যুবতী ভগিনী? বিবাহযোগ্যা?
হ্যাঁ ভদ্র।
অমোঘভল্ল তখন গভীর ভৎসনার কণ্ঠে বলিলেন—ধিক সোমভদ্র। গৃহে বিবাহযোগ্যা যুবতী ভগিনী থাকতে তুমি একটা অজ্ঞাতকুলশীলা অজ্ঞাতচরিত্রা বন্দিনীকে বিবাহ করতে চাও। ওরা তো দুদিনের সম্ভোগের সামগ্রী, ওরা কি ভগিনীর পদ অধিকার করার যোগ্য? তুমি সদ্বংশজাত, তুমি রাজ্যের একজন সেনানায়ক; তুমি যদি এমন কুদৃষ্টান্ত স্থাপন কর, তাহলে সামান্য ললাকে কী করবে? জাতির সংস্কৃতি বিজাতীয় ভাবের বন্যায় ভেসে যাবে। তাছাড়া তুমিও সুখী হতে পারবে না। যার সঙ্গে রক্তের সম্বন্ধ নেই, সে কি কখনও হৃদয়ের আত্মীয় হতে পারে? সে কি গৃহের গৃহিণী হতে পারে?
কিন্তু উপদেশ বাক্যে সোমভদ্রের রুচি নাই। সে ত্বরান্বিত কণ্ঠে বলিল—মহানায়ক, অনুগ্রহ করুন, মেরুকাকে দান করুন।
অমোঘভল্ল দৃঢ়স্বরে বলিলেন—কখনই না। তুমি উন্মত্ত, জ্ঞানবুদ্ধি হারিয়েছ; তোমাকে প্রশ্রয় দিলে তোমারই সর্বনাশ হবে। যাও, গৃহে ফিরে যাও, আপন ভগিনীকে বিবাহ কর।
সোমভদ্র কিছুক্ষণ বুদ্ধিভ্রষ্টের ন্যায় দাঁড়াইয়া রহিল। তাহার অন্তর বিদ্রোহ করিতে চাহিল; কিন্তু সে যোদ্ধা, আদেশ লঙ্ঘনে অনভ্যস্ত। সে টলিতে টলিতে ফিরিয়া চলিল।
অমোঘভল্ল সদয়কণ্ঠে তাহাকে ডাকিলেন—শোনো সোমভদ্র।
সোমভদ্র আবার কাছে আসিয়া দাঁড়াইল। অমোঘভল্ল সস্নেহে তাহার স্কন্ধে হস্তাৰ্পণ করিয়া বলিলেন—হতাশ হয়ো না। চুপি চুপি একটা কথা বলি শোনো। দু মাস পরে তোক ছমাস পরে হোক মেরুকাকে আমি বিক্রি করব। তখন যদি তুমি ওকে চাও, তাহলে তোমার হাতেই ওকে বিক্রি করব, অন্য কাউকে দেব না। ইতিমধ্যে তুমি তোমার ভগিনীকে বিবাহ করে সংসারী হও। কেমন?
সোমভদ্র আর সেখানে দাঁড়াইল না।
অদূরে শক্ত-সমর্থ বন্দিনীটা এতক্ষণ নগ্নদেহে অপেক্ষা করিতেছিল, মহানায়ক অমোঘভল্ল হাসিতে হাসিতে তাহার কাছে ফিরিয়া গেলেন।
ওদিকে শুষ্ক চক্ষু মেলিয়া শফরী শয্যায় পড়িয়া ছিল। সূর্যোদয় কালে সোমভদ্র যখন ছুটিয়া গৃহ হইতে বাহির হইয়া গেল, তখন সে দুঃস্বপ্নময় চিন্তার জাল সরাইয়া শয্যা হইতে উঠিল। ইতিমধ্যে পিতামাতাও জাগিয়াছেন। শফরী তাঁহাদের কাছে গিয়া সোমভদ্রের সঙ্কল্পের কথা জানাইল, তারপর সহসা মায়ের গলা জড়াইয়া কাঁদিতে লাগিল।
মাতাপিতা প্রথমে হতবুদ্ধি হইয়া গেলেন। তারপর মাতা শফরীকে সান্ত্বনা দিবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু সান্ত্বনা দিতে গিয়া নিজেই অসংবৃত হইয়া পড়িলেন। পিতার মাথায় ঝাঁকে ঝাঁকে দুশ্চিন্তা আসিয়া জুটিল। সোমভদ্র বয়ঃপ্রাপ্ত এবং স্বাধীন, তাহাকে শাসন করা যায় না….বিজাতীয় নারীকে বিবাহ করিয়া সে ঘর ছাড়িয়া চলিয়া যাইবে…এরূপ বিবাহ কখনো সুখের হয় না; মিশ্র রক্তের সন্তানসন্ততি কখনো ভাল হয় না, উন্মার্গগামী হয়…এদিকে শফরীর কি হইবে…শ্যেনভদ্র নিতান্ত বালক; অগ্রজার সহিত অনুজের বিবাহ নিষিদ্ধ না হইলেও বাঞ্ছনীয় নয়..বাহিরের পাত্র ঘরে ডাকিয়া আনিতে হইবে; ধাতুপ্রকৃতির বিষময়তায় সংসারের সুখশান্তি নষ্ট হইবে, খাল কাটিয়া কুমীর আনা এবং বাহিরের জামাতা ঘরে আনা একই কথা…সোমভদ্র এ কী করিল! অন্ধমোহের বশে সুখের সংসার ছারখার করিয়া দিল!
সকলের মনে বিষণ্ণ ব্যাকুলতা, সকলের দৃষ্টি বাহিরের দিকে। ঐ বুঝি বধূর হাত ধরিয়া সোমভদ্র আসিতেছে! শফরী ভাবিতেছে, বধূকে দেখিয়া সে কী করিবে? সংযম হারাইবে না তো?
কিন্তু প্রভাত বহিয়া গেল, সোমভদ্র ফিরিল না। সকলের মন উৎকণ্ঠিত; শরীর মনে ক্ষীণ আশা ঝিকমিক করিতে লাগিল—তবে কি ডাকিনীর মন্ত্রতন্ত্র ফলিয়াছে। তবে কি?
দ্বিপ্রহরেও যখন সোমভদ্র ফিরিল না, তখন পিতা চিন্তিত মুখে তাহাকে খুঁজিতে বাহির হইলেন। মাতা শঙ্কা-ভরা বুকে রন্ধনশালায় গেলেন। শফরী অঙ্গনে ছটফট করিয়া বেড়াইতে লাগিল। তারপর হঠাৎ তাহার বুক সন্ত্রাসে চমকিয়া উঠিল। বাল্যকাল হইতে সোমভদ্রের অভ্যাস ছিল, যখনই কোনও কারণে তাহার মন খারাপ হইত, তখনই সে নদীর ধারে গিয়া বসিয়া থাকিত। একবার শফরীর প্রশ্নের উত্তরে বলিয়াছিল—বড় শান্ত শীতল ওই নদীর জল। যেদিন এ পৃথিবী আর ভাল লাগবে না, সেদিন ওর তলায় গিয়ে শুয়ে থাকব।
আতঙ্ক-শরবিদ্ধ হৃদয় লইয়া শফরী হরিণীর মতো নদীতীরে ছুটিল।
জলের কিনারে একটি বালিয়াড়ির আড়ালে সোমভদ্র পাশ ফিরিয়া শয়ান রহিয়াছে, অলস হস্তে নুড়ি কুড়াইয়া একটি একটি করিয়া জলে ফেলিতেছে। শফরী তাহার কাছে আসিয়া দাঁড়াইল, সে দেখিতে পাইল না। অন্তরের অতল গুহায় ড়ুবিয়া আছে।
শফরী মৃদু গদগদ স্বরে ডাকিল—ভাই!
সোমভদ্রের নিরুৎসুক চক্ষু শরীর দিকে ফিরিল। শরীর বুকের মাঝখানে কাটা দাগের উপর দৃষ্টি পড়িল। সে বলিল—কি করে কেটে গেল?
শফরী ভঙ্গুর হাসিয়া বলিল—কাটেনি। ঘুমের ঘোরে নখ দিয়ে আঁচড়ে ফেলেছি! চল, বাড়ি চল।
সোমভদ্রের চোখে একটু সচেতনতা দেখা দিল, সে বলিল—বাড়ি? কেন?
সারাদিন খাওনি। এস। শফরী সোমভদ্রকে কোনও প্রশ্ন করিল না, শুধু হাত বাড়াইয়া দিল। সোমভদ্র হাত ধরিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল, আর কোনও কথা না বলিয়া শফরীর পাশে পাশে বাড়ির দিকে চলিল!
কয়েক মাস পরে একদিন অপরাহ্নে শফরী অঙ্গনের দ্বারের কাছে ঘোরাঘুরি করিতেছিল। প্রাতঃকালে সোমভদ্র কয়েকজন বন্ধুর সহিত নদীর পরপারে মৃগয়ায় গিয়াছে, এখনও ফিরিয়া আসে নাই।
দূরে সোমভদ্রকে আসিতে দেখা গেল। তাহার স্কন্ধে ধনু, পৃষ্ঠে মৃত হরিণ-শিশু, মুখে পরিতৃপ্তির হাসি। শফরী হৰ্যসূচক শব্দ করিয়া তীরের মতো তাহার দিকে ছুটিল। পিতামাতা অঙ্গনের বেদিকার উপর বসিয়া ছিলেন, স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিলেন। সোমভদ্র আসিতেছে।
শফরীকে আসিতে দেখিয়া সোমভদ্র দাঁড়াইল; ধনু ও হরিণ মাটিতে নামাইয়া দুই বাহু প্রসারিত করিয়া দিল। শফরী নীড়প্রত্যাশী পাখির মতো তাহার বাহুবেষ্টনের মধ্যে প্রবেশ করিল। বহুদিন পরে সে সোমভদ্রের মুখে সেই পুরাতন অকুণ্ঠ হাসি দেখিয়াছে। এতদিন পরে বিদেশিনী কুহকিনীর মোহজাল ছিড়িয়া সোমভদ্র তাহার কাছে ফিরিয়া আসিয়াছে।
শফরী মুখ তুলিয়া ক্ষুধিত চক্ষে সোমভদ্রের পানে চাহিল। সোমভদ্র তাহার অধরে চক্ষে ললাটে চুম্বন করিল। শফরী দ্রুত নিশ্বাস ফেলিতে ফেলিতে বলিল—বলো ভগিনী–বলো বহিন—বলো বোন।
সোমভদ্র বলিল—ভগিনী-বহিন—বোন।
অতঃপর মন শান্ত হইলে শফরী ধনু ও হরিণ তুলিয়া লইল। দুজনে গৃহে প্রবেশ করিল।
সোমভদ্র পিতার সম্মুখে গিয়া সলজ্জ অনুযোগের স্বরে বলিল—বাবা, আমাদের বিয়ে দেবে কবে?
পিতা সচকিতে পুত্র ও কন্যার মুখের পানে চাহিলেন, তারপর কোমল গম্ভীর কণ্ঠে বলিলেন—এখনি পুরোহিতের কাছে যাচ্ছি।
সোমভদ্র ও শফরী গৃহের অভ্যন্তরে চলিয়া গেল। পিতামাতা পরস্পরের পানে চাহিয়া হাসিলেন। মাতার চক্ষু আনন্দে বাষ্পচ্ছন্ন হইল।
তাঁহারাও ভ্রাতা-ভগিনী।
এইবার কাহিনীর স্থান কাল বলা যাইতে পারে। ঘটনাস্থল প্রাচীন মিশর; ঘটনাকাল আজ হইতে অনুমান পাঁচ হাজার বছর পূর্বে। মিশরবাসীরা তখন চক্রযানের ব্যবহার জানিত না, লৌহ তখনও আবিষ্কৃত হয় নাই, অশ্বের সহিত মনুষ্য জাতির পরিচয় ছিল না। যে মানুষগুলির কাহিনী লিখিলাম, তাহারা কিন্তু আমাদের মতোই মানুষ ছিল।
৮ শ্রাবণ ১৩৬৮