আকুতি যদি প্রাণের হয় মা আকুতি ছড়ায় বিশ্বময়
মা দুগগা বলে যাকেই ডাকিনা মা ছুটে আসেন গরীবখানায়।
পুজোয় সবার আনন্দ হয় মা গরীবের মন দুঃখময়
এবার কি হবে আরাধনায় মা বিচার চায় যে বিশ্বময়।
কাজ করে খাই গতর খাটাই বাবুর বাড়ির ঝক্কি দায়
সব সামলাতে এ শীর্ণকায়া মা হত দরিদ্র টুম্পার মায়।
শাড়ি ছিঁড়ে গেছে ব্লাউজটায় মা শত তাপ্পিতে লাজ বাঁচায়
সায়ার হালও এই যায় যায় লজ্জার মাথা খেয়েছি তায়।
গিন্নিমা আমার মানুষটা ভালো পুরাতন শাড়ি আমাকেই দিলো
বললো পুজো তো এসেই গেলো রে নতুনও দেবো বকশিস আদায়।
ছেলেমেয়ে মোর বড়ো হয়ে গেলো গিন্নিমার ছেলেমেয়ে বড়ো ভালো
পুরনো জামা প্যান্ট দিয়ে দিলো ঢিলেঢালা হলে কিহলো তায়।
স্বামী ভবঘুরে জাতিতে মাতাল শুয়ে পড়ে থাকে পেলেই চাতাল
খাওয়া শোয়া ঘুম ছাড়া কিছু নয় ডমরু বাজিয়ে ভিক্ষা চায়।
এমনি করেই দিন কেটে যায় পুজো এসে গেলে ঋণ বেড়ে যায়
গিন্নিমা নিজেই চাল ডাল দেয় গরীব দুঃখীরা দুটি খেতে পায়।
পুজো আসলেই মন আনচান ভিক্ষাই সম্বল বুদ্ধি খাটান
মাইনের সাথে গিন্নি বোনাস দেন বস্তিবাসীর প্রাণ বাঁচান।
গিন্নিমা আমার দুগগা মা বটে কাজে ভুল হলে রেগে যায় চোটে
বকেন আবার খেতেও যে দেন মা বলে ডাকলে বুকে জড়ান।
অভয়া জননী সুখদা মোক্ষদা তোমার দয়াতে বেঁচে আছি সদা
এসো মা দুগগা এসো গো সারদা তোমায় প্রণাম করি গো মা
তুমিই আমার মুক্তি স্বরূপিণী তুমি মা জননী বিপদত্তারিণী
হে মাতঃ গিন্নি দুগগা স্বরূপিণী প্রতি ঘরে ঘরে এসো গো মা।।