এক ফোঁটা অন্ধকার দিয়ে তুমি কপালে একটা টিপ পরে নিলে
আজকাল তো কালো টিপ আর চালু নেই
কেন না কালো লিপস্টিক হয় না বোধহয়
দুই বাহুমূলে লাগিয়ে নিলে ধূপের ধোঁওয়া
এখন ধূপ তো ঠাকুর ঘরের বাইরে আর দেখি না
ঠাকুর ঘরগুলোও মিলিয়ে যাচ্ছে রান্নাঘরের সঙ্গে
রাস্তায় কাঁচুমাচু ছেলেরা ধূপ বিক্রি করতে এসে ভিখিরি হয়ে যায়
এক আঁজলা বৃষ্টির জলে কুলকুচো করে নিলে তুমি
বৃষ্টির জলে কত পলিউশান তোমার মনে পড়ল না
খোঁপায় গুঁজে নিলে গুঞ্জাফুলের মালা
আঁচল খুলে বুকে মেখে নিলে মেঘ ভাঙা জ্যোৎস্না
নাভিতে প্রতিফলিত চাঁদের টুকরো
তম্বুরার মতন দুই নিতম্বে কামিনী ফুলের ঘ্রাণ
যোনিপথে ওঁং ধ্বনি
পায়ের পাতায় রক্ত চন্দনের আভা
আঃ কতগুলো যুগ কেটে গেল, এখনো তোমার যোগ্য হয়ে
উঠতে পারলাম না আমি
আজ আবার এসেছ পরিহাসের অপূর্ব উন্মাদনায়
আমার চোখ ঠেকবে মাটিতে
যেন আমার আকাশ দেখার অধিকার নেই আর নেই!