এক বৃষ্টি ভেজা বিষন্ন দিনে বহুদিন পর দেখা হলো তোমার সাথে সানন্দা।
সিগন্যালের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলে, অনেক পাল্টে গেছ তুমি, চেনা মুশকিল।
চেহারায় ফুটে উঠেছে প্রখর মধ্যাহ্নের বিষাক্ত ছোবল।
আমার ফেলে আসা আলোকিত দিনের রোদ ঝলমলে
সেই মেয়েটার কোন ছায়া আজকে দেখতে পাইনি।
তোমার সাদা রঙের সিঁথির দিকে চোখ চলে গিয়েছিল অজান্তেই,
তার সাথেই মন পাড়ি দিয়েছিল অনেকটা পথ কয়েক পলকেই,
ঘটমান বর্তমান ও অতীতের হিসেব- নিকেশ করতে গিয়ে কেটে গিয়েছিল বেশ কিছুক্ষণ,
তবুও যোগফল মিলছিল না কিছুতেই!
জলছবির মতো চোখের সামনে ভাসমান…..
লেকের ধার, কমনরুম, কলেজ ক্যান্টিন, গেটের সামনে থাকা ফুচকার গাড়িটা,
তোমার মনে আছে সানন্দা, রোজ আমাদের একসাথে
ক্লাস ফাঁকি দিয়ে লেকের পাড়ে বসে থাকার কথা!
কলেজ ক্যান্টিনে একই প্লেটে খাবার ভাগাভাগি করে খাওয়া!
কমনরুমে আমাদের আড্ডা, মনে কি পড়ে?
কতো স্মৃতির কোলাজ! লাল, নীল ,সবুজ রঙের
স্বপ্নের মতো,
তারপর একদিন হঠাৎ করে তুমি জীবনের ইকোনমিক্সে
মাস্টার্স করতে গিয়ে হারিয়ে গেলে,
পিছনে পড়ে থাকল অসমাপ্ত ভালোবাসার এক টুকরো ধানি জমিন,
একলাফে অনেকটা এগিয়ে যেতে চেয়েছিলে, তাইতো?
আকস্মিক এই আঘাত সামলাতে সময় লেগেছিল বেশ কয়েকবছর,
জীবন থেমে থাকে না, থেমে থাকেনি
শম্বুক গতিতে হলেও এগোতে থাকলাম জীবনের পথে,
তোমাকে মুছতে গিয়ে আরো বেশি করে সাথে রেখেছিলাম যেন!
তোমার সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতির জাদুঘর বানিয়ে,
কাটছিল আমার দিন- রাত।
আজকের এই হঠাৎ দেখা,
তোমার চওড়া সাদা রঙের সিঁথি ;
এক নিমেষেই মিলিয়ে দিয়েছে, সমস্ত অসম্পূর্ণ ফলাফল।
আমার মনের দরজা আজ ও খোলা,
আজও বাড়িয়েছি হাত, যদি ইচ্ছে হয় ধরো।
আমাদের শেষ না হওয়া গল্পের আবার ও শুরু করো।
আবার ও বাড়িয়েছি হাত, যদি ইচ্ছে হয় শক্ত করে ধরো।