কী আগুন খেলছে দুপুরে, আমি উবু হয়ে চোখ বুজে
আকাশের দিকে পিঠ রেখে অশোক গাছের নিচে
শুয়ে আছি, আমার সমান দীর্ঘ কাঠের চেয়ারে,
সুর্যময় গাছের ছায়ায়। শরীরে আগুন নিয়ে শুয়ে আছি,
দালি-র জেব্রার মতো প্রজ্বলন্ত শুয়ে আছি। কাছকাছি
সামান্য বাতাস যেন নেই, কলাপাতা কাঁপছে না,
একটি ফড়িঙ দিব্যি বাতাসের সাথে বাজি ধরে
ঘোড়ার কেশরে বসে আছে– শিশুর শিশ্নের মতো,
কিছুই বোঝে না যেন, প্রাণহীন, উত্তেজনাহীন
নিস্তেজ বোধে ন্যুব্জমুখ। তবে কি সমস্ত হাওয়া
রিকশা কিংবা মোটরের টায়ারে ঢুকেছে?
কালোবাজারির মতো হয়তো সে বাতাসের মহাজন,
সমস্ত বাতাসগুলো বন্দী করে রেখেছে গোপনে,
নদী তীরে বিশাল গুদামে, মশাখালী স্টেশনের কাছে;
চাটগাঁয় অথবা ঢাকায় তুমি চৈত্রের সব হাওয়া
বুকে করে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে
ফ্রিজের ভিতরে শুয়ে আছো।
উত্তেজিত সেভেনাপে কী শীতল জমছো বরফে!
অশোক গাছের নিচে হাওয়া নেই,
ক্রমশ হলুদ পাতা ঘাম হয়ে পিঠে-মুখে ঝরছে বগলে।