যতবার আজ গাঁথনু মালা
পড়ল খসে খসে
কী জানি কার দোষে !
তুমি হোথায় চোখের কোণে
দেখছ বসে বসে ।
চোখ – দুটিরে প্রিয়ে ,
শুধাও শপথ নিয়ে
আঙুল আমার আকুল হল
কাহার দৃষ্টিদোষে !
আজ যে বসে গান শোনাব
কথাই নাহি জোটে ,
কণ্ঠ নাহি ফোটে ।
মধুর হাসি খেলে তোমার
চতুর রাঙা ঠোঁটে ।
কেন এমন ত্রুটি
বলুক আঁখি – দুটি—
কেন আমার রুদ্ধ কণ্ঠে
কথাই নাহি ফোটে !
রেখে দিলাম মাল্য বীণা ,
সন্ধ্যা হয়ে আসে ।
ছুটি দাও এ দাসে—
সকল কথা বন্ধ করে
বসি পায়ের পাশে ।
নীরব ওষ্ঠ দিয়ে
পারব যে কাজ প্রিয়ে
এমন কোনো কর্ম দেহো
অকর্মণ্য দাসে ।