একফোঁটা সিঁদুর দিয়ে
একজন মানুষকে নিজের বলে দাবী করছো..!
একবারও ভেবে দেখেছো কি !
সত্যিই সে তোমার হয়েছে কি না,
তুমি কি পেরেছো তার হৃদয় ছুঁতে !
একবার নিজেকে প্রশ্ন করে দেখোতো উত্তর পাও কি না!
অবশ্য তোমরা নিজেকে প্রশ্ন করবে কি?
তোমরা তো শুধু অধিকার বোঝ
হৃদয় নিঃসৃত অন্তরের ডাক তোমাদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না।
তোমরা একজনের হাসি – কান্না দেখে তাকে বিচার করে ফেলো।
এই হাসি কান্নার আড়ালে লুকিয়ে রাখা যে মনটা আছে তার খবর নেওয়ার কথা ভাবো না।
আমরা দূর থেকে চাঁদের শান্ত স্নিগ্ধ হাসি দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু দেখতে চাই না ওর ক্ষত বিক্ষত শরীর টা
কতবার ভূমিকম্প হয়েছে খোঁজ নিই না।
যেমন সমুদ্রের ফেনিল জলরাশি দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।
আর উত্তাল ঢেউয়ের তরঙ্গ গায়ে মাখতে সমুদ্রে নেমে পড়ি।
কিন্তু কখনো ঐ জলরাশির নীচে শান্ত সমুদ্রকে অনুভব করি না।
চাঁদের শান্ত স্নিগ্ধ আলোর হাসি আর সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গের সৌন্দর্যকে পাওয়া আমরা অধিকার মনে করি।
তাই যদি কখনও অধিকারের গন্ডি থেকে বেরিয়ে
হৃদয়ের গন্ডিতে প্রবেশ করতে পারো,
তখন এই সিঁদুরকে তুচ্ছ মনে হবে তোমার।
আর দেখবে কোনোরকম অধিকার দাবী না করেই সবকিছু তোমারই থাকছে।