কলকাতা! The city of Joy! হায়
আনন্দ কি আদেও আছে সেথায়?
রাস্তার ধারে জমেছে চোখের জল
জমাট বেঁধেছে একগুচ্ছ ছোট ফুল,
ধুলো উড়িয়ে চঞ্চল আনমনা মন
খোঁজ নিয়েছে? জেনেছে কি কত হুল-
ফুটিয়েছে মৌমাছিরা তাদের গায়?
আনন্দ কি আদেও আছে সেথায়?
কত পাখি উড়ে আসে ট্রেনলাইন ধরে
হাঁপিয়ে ওঠে, কষ্ট পায় অবহেলায়,
শহর ঘুরে শুধুই কি অজান্তে ঠকে-
বাড়ি ফিরে যায় ক্লান্ত হয়ে শেষবেলায়?
চেনা মুখ খুঁজে পাওয়ার আশা বৃথায়,
আনন্দ কি আদেও আছে সেথায়?
মুখ ঢেকে যাচ্ছে বিজ্ঞাপনের মেলায়
আবর্জনা আর পারলো কোথায় ঢাকতে?
ভাসমান দুনিয়ায় নিশ্চিত কি করে-
নীল আকাশের নীচে সুখে বেঁচে থাকতে?
ইচ্ছা থাকলে উপায়- মিশে গেছে ব্যথায়,
আনন্দ কি আদেও আছে সেথায়?
উগ্র খুশি ঝড়ে পড়ছে ঠিক যেন বৃষ্টি;
পরিষ্কার পোশাকটার কি আছে পরিচয়?
একগাদা গাড়ির জঞ্জালে ঠিক যেন-
একটু হেসে বেঁচে থাকার অভিনয়।
মানুষ তো বেঁচে আজ শুধুই জিজ্ঞাসায়,
আনন্দ কি আদেও আছে সেথায়?
বড়ো বড়ো অট্টালিকার অভিমান জানো?
সে কি আদেও চায় আকাশ ছুঁতে?
টুকরো টুকরো পরিবারের পায়রার খুবড়ি-
জেনো রাখা শুধু খাওয়া আর শুতে।
ঘুমভরা চোখে শহর শুধুই ঘুমাতে চায়,
আনন্দ কি আদেও আছে সেথায়?
রাজার মুকুট মাথায় পড়ে রোজ-
মানুষকে টানছে কাছে নিজের মায়ায়,
সাজছে ভীষণ আধুনিক রূপে
ময়লা একটু লেগে আছেই জামায়।
লোকে বলে “কলকাতায় আছি”-
আদেও কি আছেন সুখে নাকি ব্যথায়?
আনন্দ কি আদেও আছে সেথায়?