ফিরাইলা বনপথে অতি ক্ষুণ্ণ মনে
সুরথী লক্ষ্মণ রথ, তিতি চক্ষুঃ-জলে ;—-
উজলিল বন-রাজী কনক কিরণে
স্যন্দন, দিনেন্দ্র যেন অস্তের অচলে।
নদী-পারে একাকিনী সে বিজন বনে
দাঁড়ায়ে, কহিলা সতী শোকের বিহ্বলে ;—
“ত্যজিলা কি, রঘু-রাজ, আজি এই ছলে
চির জন্যে জানকীরে?হে নাথ!কেমনে—
কেমনে বাঁচিবে দাসী ও পদ-বিরহে?
কে, কহ, বারিদ-রূপে, স্নেহ-বারি দানে,
( দাবানল-রূপে যবে দুখানল দহে )
জুড়াবে,হে রঘুচূড়া,এ পোড়া পরাণে?
নীরবিলা ধীর সাধ্বী;ধীরে যথা রহে
বাহ্য-জ্ঞান-শূন্য মূর্ত্তি,নির্ম্মিত পাষাণে!