শ্মশানের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
পাওয়া গেল এক আস্ত বিকেলের হৈ-হট্টগোল…
পাত পেড়ে কেউ আগুন চাইছে জিবে
কেউ দেওয়ালে লিখে রাখছে এক বুক ধোঁয়া
ওই বটঝুরির আড়ালে ছাই রঙা এক পরিযায়ী ঘুম
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
এরকমই একটা শ্মশান…
বর্ণহীন রং-তুলির আশ্রয়ে ধুন্ধুমার অক্ষর
লাবডুব শব্দের একটা প্রগলভ নদী দিব্যি বহমান
শ্মশান-বন্ধুরা বেনামী আড়ি পেতে শুনেছিল
কথোপকথনের একপেশে বর্ণবিপর্যয়…
আস্পর্ধা দেখিয়ে তুমি বললে,
চিতাকাঠের চেয়ে ইলেক্ট্রিক চুল্লি
অনেক বেশি স্বপ্নময়
এখানে তেমন কোনো ঘুমের আকাল নেই
রাতঘুমের কাছে একটা পুরুষ্টু পাশঘুম
দিব্যি আড়মোড়া ভাঙে
ভোরের গন্ধ নীল হয়ে এলে
আপোড়া নাভির পোড়া গন্ধ…
তোমার খোঁজে বেরিয়ে এসেছি
রাস্তার হৃদস্পন্দন টের পাচ্ছি প্রতিটি
পদক্ষেপের বাক্যবিন্যাসে