চাঁদনি রাত মায়া সৃষ্টি করে
ধরিত্রীর বুকে অপূর্ব মোহমায়া,
চকোর চকোরী জোছনা পানে রত,
প্রেমিকের বুকে মাথা রেখে প্রেমিকা
সময় কাটায় নিশ্চন্তের পলে।
গরীবের ছেলে অভাব অনটনে বাঁচার লড়াই
রুজি রোজগারের খোঁজে পার করে,
পূর্ণিমা অমাবস্যা একে একে,
কাব্য রচনার মন নিষ্ঠুর বাস্তবের হাতে খান খান।
সত্য পথ কন্টকময়, তবু চলতে হবে,
কঠোর পরিশ্রমের পর নুন লংকায় পান্তাভাত,
আরাম মুখে দিয়ে, আহা – ঢেকুর ওঠে দীর্ঘ।
তবু কখনো, গরমকালে উঠোনে শুয়ে
পূর্ণিমার জোছনা মাখে নগ্ন শরীর,
কল্পনা এসে ভিড় করে, দুছত্র কাব্য রচনা করে।
আনন্দে পুলকিত দেহ মন
নিজের ভূমিষ্ঠ নবজাতকের দিকে চেয়ে রয়,
বাস্তবে ফিরে বলে, গরীবের আবার শিল্প, কাব্য রচনা।
ঘুমিয়ে পড়ে মুখের কোণে একটুকরো হাসি নিয়ে।