তুমি কি আজও বসে আছ ,
শুধু ক্ষণেকের দেখা করার –
গভীর অপেক্ষায় আগের মতো ?
শান্তি ,তোমার সাথে আর দেখা হবে না ,
সুখের ঘরের চাবিটা হারিয়ে ফেলেছি –
দুঃখের মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে ।
ঘর্মাক্ত শরীরে দুরাশায় ক্লান্তিতে টলতে টলতে ,
হতাশার পাহাড় চেপে বসেছে মনের গভীরে ,
সত্যের পতাকা দূষিত পৃথিবীর বাতাসে ওড়ে না ।
ওরা এখনো কাজ করে ,গ্রামে, গঞ্জে ,মাঠে ময়দানে ,
ওরা কাজ করে নতুন সূর্যের আশায় ।
দুচোখে তাজা স্বপ্ন খেলা করে-
প্রাত্যহিক যুদ্ধের ময়দানে ।
বুকে চেপে ধরা প্রত্যাশা পাহাড়ের চূড়ায় –
রক্তের মই বেয়ে আপ্রাণ আহরণের ব্যর্থ প্রচেষ্টা ।
আমি নীরবে দেখি পরাজয় , নিষ্ফলতায় চোখ মুছি ,
আমার প্রার্থণা রয়ে যায় আকাশে বাতাসে ।
মনের শান্তিরা মিলিয়ে যায় হতাশার অন্ধকারে ।
শান্তি ,আমি ভালো নেই ,
শহরের মিছিল স্তব্দ হয়ে গেছে –
অলিখিত যড়যন্ত্রের আর্তনাদে ।
আমি ভালো নেই সততার আর্তসমর্পণের আঘাতে ,
কারা যেন বিষিয়েছে বায়ু ,নিভিয়েছে আলো ,
ক্ষমাহীন অন্তর ঘুরে মরে প্রতিহিংসার অন্বেষণে ।
আজ যেন মরুভূমি এ শহর প্রান্ত ,
ভালোবাসা ধুঁকে মরে যৌনতার পদাঘাতে ।
প্রতিবাদহীন মৌনতা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় এসময় ,
নির্লজ্জ সভ্যতা ,মানবিকতাহীন ঔদ্ধত্য –
সীমাহীন পাপাচারে নিমজ্জিত সমাজ যেন জঙ্গল ।
আমি ,তুমি ,আমরা ভালো আছি?বল কেমন করে –
অস্তমিত সূর্যের শেষ আলোয় ,শত নারীর –
লাঞ্ছিত ,অত্যাচারিত ,ধর্ষিত সভ্যতার –
পাষাণভার বুকে চেপে ,
কান্নার স্রোতে ভাসতে ভাসতে ,
শ্বাসরোধ হওয়া ,ত্রাসে দম বন্ধ করে –
প্রতিটি অভিশপ্ত সকালে ভাল আছ ?
কাল রাতে ধর্ষিতা মার আর্তবিলাপ শুনেছি ,
হে নরাধম আমার সন্তানগণ একবার মা বলে ক্ষমা চাও,
নয়তো আমার এ্ই যোনিদ্বার উন্মুক্ত করে দিচ্ছি
তোমরা এসে আমায় গণধর্ষণ করে –
তোমাদের আদিম পাশবিক মনোবৃত্তি মিটিয়ে ,
মানুষ ,পশুর দূরত্ব ঘুচিয়ে মধ্যযুগে ফিরে যাও ।
আমার যোনিদ্বার শলাকা দ্বারা রক্তাক্ত কর ।
তারপর তোমাদের জন্ম দেওয়ার অভিশাপ থেকে-
মৃত্যু হেনে আমায় মুক্ত কর ।
ষাটোর্ধ্ব মায়ের সেই কান্নায় আমি –
বার বার আমার মৃত্যুর কামনা করেছি ।
এখন আর মোমবাতি জ্বলে না ,
প্রতিবাদে মুখরিত হয়না রাজপথ ।
অন্ধকারে স্তব্দ দেখি জ্ঞানীদের মুখ ,
ভয়ে ,ত্রাসে, দম্ভের কাছে সবাই পরাঙ্মুখ ।
কুটিল ভ্রুকুটি মেলে চিল শকুনের হাসি ,
লালসার বাহুবলির প্রকাণ্ড সাম্রাজ্যে –
আজ পরাজিত মনুষত্ব। নির্মমতার কঠোর আঘাতে –
ধর্ম কেদেঁ মরে –
শ্মশানের লেলিহান চিতায় ।
” মরণ হে তুহি মম শ্যাম সমান “।