হে প্রিয় কিঙ্কিণী কবিতা তরঙ্গিণী
তোমার অজানা নয়
তুমিই আমার শেষ বিশল্যকরণী ।
তোমার ঝিকিমিকি ত্বকের শয্যায়
কীভাবে সময়ের নারকীয় সারণী রাখি বলো !
তোমার নবনী মনের কাঁধে অসভ্য সভ্যতার
নগ্ন পেরেকগুলি পুঁততে বড় কষ্ট হয় ।
পৃথিবীর সব নৌকায় সমানভাবে পা দিয়ে চলতে
হবে , বুরবক বেতালা হওয়া চলবে না ।
তোমার নাব্য নদীর বুকে এইসব কূট
শব্দ চালনা করতে ভীষন লজ্জা লাগে
কবিতা আমার ।
আমার প্রাণের পিলসুজে এতো এতো
জন্মদীপ জ্বলে’ নিভে গেলো ,
তোমার মনের মতো একটিও হরফ আলপনার
আলোক দৃশ্য তুলে আনতে পারলাম না ।
এ অতৃপ্ত উচ্চারণ এক অযোগ্য প্রেমিকের ,
কবে যোগ্য জন্মে নেবে প্রিয়তমা !