তপনের আতপেতে ঝরে ঘাম দরদর,
নিদাঘের তাড়নায় জ্বালা পোড়া দিনভর।
উষ্ণতা বেড়ে চলে নেই দেখা জীমূতের,
শুষ্কতা নদী বিলে দুর্গতি প্রাণীদের।
ফসলের খেত সব দাবদাহে ছাড়খার,
ফুটিফাটা হয় ভূমি কিষাণের হাহাকার।
অনবরত বহে লু ওষ্ঠাগত যে প্রাণ,
বরষণ হলে ধরা করবে শান্তি স্নান।
পিপাসিত জীবকুল আকাশেতে রয় চেয়ে,
বৃষ্টি বাদল যদি ধরণীতে আসে ধেয়ে।
অগ্নি তাপের তেজে ঝরে কত ফুলদল,
ম্লান নত গাছপালা নিষ্প্রাণ বনতল।
ত্রাহি ত্রাহি ধরা মাঝে প্রাণ যেন জ্বলে যায়,
সবুজের রূপরেখা মরুভূমি লাগে হায়।
গরমের তীব্রতায় নাভিশ্বাস শুধু হয়,
নিদারুণ বৈশাখে ভানু দেখে লাগে ভয়।
কাঠফাটা রোদ্দুরে চাতকের মৃদু সুর
চিহু রবে ডাকে চিল গগনেতে উড়ে দূর।
দিঘিজলে হাঁসগুলো করে শুধু হাঁসফাঁস,
ছিটেফোঁটা জল ‘পরে গরমে কষ্ট রাশ।
নগরায়ণ কারণে কাটে গাছ ভরে বিল,
প্রকৃতির রোষানলে ছাড় নেই এক তিল।
অতিষ্ট হৃদি নিয়ে চেয়ে থাকা প্রভু প্রাণে,
ঢালো গো বৃষ্টি সুধা প্রভু তব কৃপা দানে।