তুমি শুনেছো কি ক্ষুধার্তের আর্ত চিৎকার?
পূর্ণিমার ভরা জোছনার ঋজুপথে ধেয়ে আসে সে আওয়াজ।
পৃথিবীর প্লেটগুলোর সরণে যে রাশি রাশি ভেক্টর সৃষ্টি হয়
তাদের সংযোজন বিয়োজন করে কেউ দেখেছে কি?
সেই ভেক্টরও ক্ষুধার্ত মানুষের মতো বসে বসে কাঁদে।
অল্প উত্তেজনায় কি ভীষণ ভয়াবহ সে প্রতিঘাত!
তুমি শুনেছো কি গাছেদের চিৎকার?
আমাজনের জঙ্গলে কিংবা মাসাই মারার নিস্তব্ধ অঞ্চলে
ঝিঁঝিঁ পোকা আর বন্য শ্বাপদের শব্দ ভেদ করে আসে
আসে পর্যাবৃত্ত সে কান্না।
হিংস্র হায়েনার কর্কশ শব্দে চাপা পড়ে যায় সেই কান্না,
তবুও ওরা কাঁদে, ভীষণ কষ্টে কাঁদে।
সহস্র কোটি শ্রুতিগোচর শব্দের ভিড়ে কোথায় যেন হারিয়ে যায়।
তুমি শুনেছো কি বিপন্ন সেই প্রাণীর হাহাকার?
এতোবড় পৃথিবীর বুকে তারা সঙ্গী খুঁজে চলে অহরহ,
সঙ্গী খুঁজে চলে তাসমানিয়ার সেই ছিপছিপে বাঘ
সঙ্গী খুঁজে চলে রূপদিঘীর পাড়ের সেই একাকী সাদা শকুন।
নক্ষত্রলোকের ছায়াপথের আড়ালে হাতছানি দিয়ে ডাকে ওদের সঙ্গী,
মানুষের আধুনিক জীবনের বাঘবন্দীর খেলায় কতো প্রজাতি শেষ,
তুমি শুনেছো কি ওদের বুকভরা হাহাকার?
শুনেছো কি ওদের কান্না?