ভাসছে দেখো নদীতে অর্ধদগ্ধ মৃতদেহগুলো..!!
এমন মৃত্যু মিছিলের স্রোতের মধ্যে আর কতো মহামারিকে আহ্বানের নির্লজ্জ প্রয়াস…!!!
নদীর চেনা চরিত্র পাল্টে বিহার উত্তরপ্রদেশে যমুনা, গঙ্গা কিনারে এ কি দেখছি অমানবিকতার নিদর্শন !
শিউরে উঠছি দেখে পোঁটলা করে ছুঁড়ে ফেলা নদীর ধারে অথবা আড়ালে ব্রিজের ওপর থেকে!!
মহামারীর মাঝে এভাবে জল দূষণে আর কত ভয়ংকর আগামী লুকিয়ে থাকবে বলতে পারো!!
আর কত কি দেখতে হবে!!
চিকিৎসা না পাওয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে যাওয়া জীবন্ত লাশ গুলো কি সামান্য সম্মানটুকু পেতে পারে না!!
মানছি সময়,অস্থিরতা ধৈর্য্য সব বাঁধ ভাঙা বিপর্যয়ে র শিকার ,তাবলে প্রশাসন এ কেমন প্রতিকার!!
একটু কি মানবিক হওয়া যায় না!! না হয় লাগবে আরেকটু ইলেকট্রিক,পোড়ানোর কাঠ,বেশ কিছুটা সময় নিদেনপক্ষে গণ কবর যদি দেওয়া যায়!
এরকম নিশ্চুপ কেন থাকবেন আপনারা!!অন্যের দিকে আঙুল তোলা রাজনৈতিক কারিগর!
বিহারে বক্সার,কাটিহার,উত্তরপ্রদেশ কেবল নয়,
দেশের যে প্রান্তেই এ অবক্ষয় তা জাতীয় লজ্জা।
আত্মীয়-স্বজন চেনামুখের মানুষগুলোর আজ যে দিকে দিকে হাহাকার,ক্রন্দনধ্বনি,
বীভৎসতার দাবানল,মানব সভ্যতার সংকট,
এর সমাধান কোথায় সত্যি আমাদের জানা নেই।
জীবন্ত ঈশ্বর ডাক্তার,নার্স রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমে আপ্রাণ চেষ্টা তবু দিকে দিকে নেই বেড,নেই অক্সিজেন, আছে এক শ্রেণীর অসাধু লোকের কালোবাজারি রমরমা।
প্রতিশ্রুতির আছড়ে পড়া বন্যার ফাঁক গলে তাদের দিব্যি টোপ অসহায় মুখ খুঁজে,পকেট গরম লক্ষ্যে।
হাসপাতাল থেকে শ্মশান নিয়ে যেতে প্রাইভেট শববাহী গাড়ি খুঁজে পেতে হিমশিম বিধ্বস্ত স্বজন। হাজার টাকার পরিষেবা আজ বিকোচ্ছে পনের বিশ হাজারে !
স্থান সংকুলানের অভাবে তাহলে বীভৎসভাবে ছুঁড়ে দেওয়ার নমুনা দেখবো আমরা তাও কিনা
নদীর ধারে,যার ওপর দাঁড়িয়ে মানব সভ্যতা!
মৃত্যুর পরে এতোটুকু সম্মান কি পেতে পারে না সারা জীবন মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা মানুষগুলো আজ নয় তারা সব নিস্প্রাণ নিথর !