অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী যদি থাকে ক্ষমতা
শিক্ষা যদি যথার্থভাবে আয়ত্ব করতে না পারা যায় এবং অসমাপ্ত অবোধ্য থেকে যাওয়া শিক্ষাকে নিয়ে যারা আত্মতুষ্টি অনুভব করে তার যত্রতত্র জাহির করে বেড়ান তাহলেই সেটা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কোন বিষয়ে না জেনে না বুঝে কেউ যদি অযৌক্তিক মন্তব্য করে বসে তখন সেটা প্রচন্ড দৃষ্টিকটু ও অশালীন ঠেকে।
সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম নয় তারা করার মাঝখানে না বুঝেই নিজের বিদ্যে ফলাতে বাহাদুরি পেতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে উপস্থিত সকলকে সমস্যার মুখে দাঁড় করান।
শিক্ষা যদি পুরোপুরি আয়ত্বাধীন থাকে তা যেকোন বিষয়েই হোক না কেন তবেই তাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা যেতে পারে।
আর,এই বিষয়ে সচেতনতা বোধ সে রাজনীতিই হোক, সামাজিক হোক বা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই হোক যথার্থ জ্ঞান থাকলে এবং বিষয়ের সমর্থক উপলব্ধি থাকলে তবেই মন্তব্য করা উচিত।
আর,এসব অর্বাচীন মানুষরাই কেবলমাত্র অল্পবিদ্যার বহর ফলাতে মুখিয়ে থাকেন ।লেখা,পড়া এবং আচার আচরণে ,চলনে,বলনে,শিষ্টাচারিতা যাদের থাকেনা,তাদের সামান্য নৈতিকবোধটুকুও নেই তারাই অল্পবিদ্যা নিয়ে সব ব্যাপারে অযথাই নাক গলাতে ব্যস্ত থাকেন ।এদের জন্যেই ভালো মানসিকতাসম্পন্ন মানুষদেরকে ও হয়রানির শিকার হতে হয়।
যেকোন বিষয়ে কারো যদি যথেষ্ট জ্ঞান থাকে তাহলে আলোচিত বিষয়ের উপরে অবশ্যই মন্তব্য রাখতে পারেন মুক্তি দিয়ে। কিন্ত কিছু কিছু মানুষের বিবেক বুদ্ধির দোরে জং ধরে যাওয়াতে তাঁরা যেকোন বিষয়ে ,সে বিজ্ঞান,ভূগোল ,সমাজনীতি,ইতিহাস সর্বব্যাপারেই জ্ঞানের বহর দেখাতে ব্যগ্র থাকেন যা কখনোই সমীচীন নয়, উপরন্তু হাস্যকর বলে মনে হয়।
এমনটা কতিপয় ক্ষমতা হাতে থাকা ব্যক্তির উপরেও প্রযোজ্য হতে পারে।
এটা তাঁরা বুঝতেই চায়না রে,অন্যায় অস্ত্র ক্ষমতায়ন মানুষের জীবনে চূড়ান্ত বিপর্যয় থেকে আনতে পারে।
এসব মানুষের সংখ্যা সমাজে নেহাৎ কম নয়।তাই সমাজের মানুষের স্বার্থেই সমবেতভাবে জনগণকেই এবিষয়ে সোচ্চার হয়ে উঠতে হবে।
তবেই হয়তো,মানুষ চেতনায় ফিরবে।আর চেতনার বোধোদয়েই তো সমাজের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।