যেমন করে অলিক তন্দ্রা ভেঙে,
ভ্রুনের বুক থেকে জেগে ওঠা সৃষ্টিতত্ত্ব,
বায়বীয় সুড়ঙ্গের বাতিঘরে জন্মশোধের কথা বলে—
যেমন করে বেসামাল বিটপের ঠোঁটে জমে থাকা কুয়াশার স্মৃতি-বিস্তৃতির দিনলিপি লেখে জটিল মনঃস্তত্ত্ব—
ঠিক তেমন করেই আত্ম-প্রতারণার প্রত্নঘোরে
অভিমানী ধূলোবাড়ি ঘুমিয়ে থেকেছে সহস্রজন্মের সম্ভাবনা নিয়ে ব্যবচ্ছেদের বীজের ক্রোড়ে।
যেমন করে অবচেতনার গল্পে মগ্ন কবিতার পঙক্তি, অর্থহীন ক্যালিগ্রাফিতে সাজায় এক নিরামিষ গোধূলির ক্যানভাস—
মৃদঙ্গের সঙ্গত যেমন প্রেমিকের নিটল চোখ ছুঁয়ে
হেঁটে যায় কারফিউ লাগা সুখ-স্বপ্নের নিলয়ে
কোন এক নির্জন দুপুরে—
ঠিক তেমন করেই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কলমির নষ্ট ফুলে
শোভাযাত্রা সাজায় দ্রোহী ক্ষেত,
আস্তিন ভেজা কবিতার ভীড়েও তেমনই এক
বেনামী সম্পর্কের সন্ধ্যামালতী,
নিষিদ্ধ প্রেমের সকল অনিয়ম অতিক্রম করে
নৈমিত্তিক উচ্ছ্বাসে পরিণত করে
এক অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তবৃষ্টির ধ্রুবক ।