আমাকে দেখতে এসেছো যারা
নেমে যাও গহন গভীরে।
ভালো করে চেয়ে দেখো,
কি শীতল এখনো আমি
মৃত্যুর মতো স্থির।
পেটের গভীরে আছে
লাভার স্রোত।
শ্যাওলার মতো জমে পড়ে আছে নিশ্চুপ।
কোনো পূর্ণিমাতে বা অমাবস্যায়, কোনো বনাঞ্চলে সামিয়ানা বেঁধে
জাহির করিনি নিজেকে কোথাও।
আমি পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে পারি,
কিন্তু পড়ে থাকি পাহাড়ের পাদদেশে।
আগাছার স্তূপ নিয়ে মুখে জড়িয়ে।
সমুদ্রের গভীরতা মাপি অনেক গভীরে গিয়ে।
কখনোই সমুদ্রপৃষ্ঠে বসে সমুদ্রের গভীরতা মাপিনি।
আমি জানি, ইচ্ছে হলে সমুদ্রকেও দু-ভাগ করে দিতে পারি।
নদীর উৎসমুখ দেখি, খুঁজি নদীর শক্তি।
কখনো দেখতে যাইনি নদীর শেষ কোনো মোহনার মিলনভূমি।
গাছের সহ্য শক্তি নিয়ে বসে থাকি বছরের পর বছর,
নিজেও একটা গাছ হয়ে।
কিন্তু যদি কখনো ফেঁটে বেরিয়ে আসি
আমার লাভার স্রোতে জন্ম নেবে আরেক পৃথিবী।
আমি-ই সেই ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি।
যার পেটের ভিতর জ্বলছে গলিত লাভার আগুনের যাদু খনি।
আমি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি,
যেকোনো দিন আমি জেগে উঠতে পারি।
এখন মৃতদেহের মতো পড়ে আছি অবিচল জড়তা নিয়ে।
এই ধ্বংসস্তূপের উপর একটা হলুদ পাখি বসন্তের আহ্বানে মিষ্টি সুরে গান গায়।
প্রকৃতি তাই চায়।