একটু ভুল হলে বানানের ,কী যে দাড়ায় মানে,
বিন্দু তখন সিন্ধু যে হয়, ক’জন ছাত্র জানে?
ফুটকি দিতে ভুলে গেলে, ধরো র-এর নিচে,
“রুশ” তখন বুশ হয়ে, লাগবে তোমার পিছে।
রাম তখন বাম হয়ে, আসবে কাস্তে নিয়ে,
পালানোর আর পাবে না পথ,বামের তাড়া খেয়ে।
রাজি শব্দ বাজি হয়ে, ফাটবে তোমার পিঠে,
স্যারের মারের চোটে তোমার,পিঠেপড়বে কালসিটে।
ব- লিখতে ‘যদি কেউ,ভুলে বসাও ফুটকি,
“বামা” তখন “রামা” হয়ে, বাজাবে হাতে চুটকি।
এমনই ভুল, ধরা পড়ে খাতা দেখতে গিয়ে,
বেজয় বিপদ, বুঝি এসব ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে।
যদি লিখে ফেলে “কমল”,”কলম” লিখতে গিয়ে,
অর্থের পুরো বদল ঘটে,সারবে না সে মলম দিয়ে।
শীত বানানটা ভুল করে, সিত যে লেখে গাধা,
মানে টা তার বদলে গিয়ে, হয়ে গেল সাদা।
বিনা শব্দ লিখতে গিয়ে, লেখে যদি বীণা,
বলো দেখি বীণা মানে বাদ্যযন্ত্র কিনা?
পড়া কথার বানান যদি কেউবা লেখে পরা,
পরা মানে পরিধান, হলো না বই পড়া!
মুখ বানান যদি কেউবা লিখে ফেলে সে মুক,
মুক মানে বোবা হয়ে, ভীষণ পেল সে দুখ।
আশা কথার বানান যদি লিখে ফেলে আসা,
আসা মানে হয় আগমন, পূরণ হয় না আশা।
কোটি শব্দ অনেকেই লিখে ফেলে কটি,
কটি শব্দ দোলায় কোমর, হয় না যে মানে কোটি।
এমনতর বানান ভেদে অর্থ পরিবর্তন ঘটে,
মানে বুঝে বানান লেখ, শিক্ষা হবে বটে।