শ্মশানের গলে থাকা শবটার
ক্ষত বিক্ষত দেহে
আজো জেগে আছে একটা বাসনা ।
শৃগালের ঝগড়া , শকুনের চিৎকার
শোনা যায় বহুদূর থেকে ।
রুদ্র আকাশের নীচে যে লোকটা
খরায় শুকনো , ফেটে যাওয়া
জমিনের উপর দিয়ে মাথায়
বোঝা নিয়ে হেঁটে যেতো
উপেক্ষা করে পিছনের দলবদ্ধ প্রচেষ্টাকে ।
যে লোকটা আসত আমার কাছে
এসে দাঁড়াতো তার ভাঙা বালুচরী
জমিনের ভাঙা হৃদয় নিয়ে
বিবর্ণ মুখশ্রী ; করুণ দৃষ্টি
তখনো বুঝিনি হারিয়ে যাবে ।
ভিতরের ফরফ গলতে দেয়নি সে কখনও
কোথাও অবনত করেনি তার সু উচ্চ আত্মবোধকে ।
ভাঙা দেওয়ালের ভাষা
আমার জানা ছিল না ,
জানা ছিল না ফেটে যাওয়া জমিনটার
আত্মপরিচয় ।
ছড়ানো ছিল চারদিক অসংখ্য কাঁটা
সেই কাঁটাকে উপেক্ষা করে রক্ত ঝরিয়ে
অবাক করে চলে যেতো লোকটা ,
আজ তার দেহ গলছে ,
কিন্তু তার হৃদয়ের ফরফ এখনও গলেনি
ও আরো শক্ত হয়ে দানা বেঁধেছে ।