এভাবে হারিয়ে যাওয়ার অন্ধকারে শূন্যতার ঘোরতর আলোড়ন
পিছমোড়ায় ফেলল বেঁধে গোপন অভিসারে ।
যেন চুরির দায়ে পড়লাম ধরা ‘আসামী’ শিরোনামে,
যেন পরিহাস হাত দুটি তুলে ধুঁয়ো দিল চারপাশে,
তখন তুমি-আমি কান্নার সাথেই গড়ি সহজ সখ্যতা,
এমন ভালবাসায় শূন্যতার দহরম-মহরমে নজরের দু-চোখে
নোনা জল পাকাপাকি ভিড়েছে বন্দরে ।
নেই নেই আবেগের কোনো বিনোদন-ভাষা,
অনুভবের দোনোমনা বিচরণে গল্পের গরুও
কখনো-সখনো গাছেতে চড়ে,
নেই নেই পথিকের স্বাভাবিক চলনবলন,
আলুনির ছায়া-ছায়া সঙ্গী চেতনায় যখন-তখন
বিষন্নতাই কামড়ে ধরে ।
শূন্যের জবরদখলে একা-একা কোণঠাসা অনুমানে
বোকা-সোকা ভাবগুলোই গড়ল ভব্যতা ।
আগল ভেঙ্গে এগোনোর কালে দু-হাত বাড়াও ভালবাসা—
নেই নেই ঘেরাটোপে উঁকিও দিতে পারে সম্ভাবনা,
আমার থেকে আমিকে যদি তুলে দিই তোমার করে,
ভাঙচুরের শুরু হতেও পারে তখুনি দামামা-বাদ্যে—
ভেঙ্গে-টেঙ্গে আমার-তোমার আদলখানি ঢাকবে তৃপ্তির কায়া ।