যেখানে অপেরা হতো সেই বনে,
সেই বনস্থলে সেখানে আজ কবিতা ভোজন হবে শ্রাবণের পূর্ণিমা রাতে,
শ্রাবণের আকাশ মলিনতাহীন,
অঝোর ধারার বৃষ্টিতে
ধুয়ে মুছে যায় সারাদিন।
কবিতা ভোজন হবে,
বসে আছে উন্মাদের দল,
সুদৃশ্য পাতায় তাদের কবিতা দিলে
কবিতা ভোজনে ব্যস্ত উন্মাদের দল।
তারাদের চাদর সরিয়ে
মধ্য গগনে এখন শশী
অপেক্ষায় বসে আছে বাংলার সব কবি।
ভক্ষণ করছে উন্মাদেরা
কেউ শিষ দিচ্ছে আনন্দে
কেউ ঝালে,
কেউ ক্ষতবিক্ষত কাঁটাতে কাঁটাতে
কেউবা ক্রন্দন করে,
কেউ মুখ ভার করে,
খুঁজে নিতে চেষ্টা করে তাদের প্রিয়ারে
দূর থেকে আমি দেখি
একি!
যে উন্মাদ আমার কবিতা ভক্ষণ করে
সে তো প্রতিক্রিয়াহীন!
চারধার জুড়ে ঘন্টা বাজে
অরণ্যের বৃক্ষরা সব
ফিসফিসিয়ে কানাকানি করে
ভক্ষণ শেষ হলে উন্মাদেরা
কত কথা বলে।
আমি বহুদূরে দাঁড়িয়ে নির্বাকের দলে।
যে উন্মাদ আমার কবিতা ভক্ষণ করল
সে বলল,
“কী সব ছাইপাশ খেতে দিলি আমাকে
না আছে নুন-ঝাল-মিষ্টি
বিস্বাদ কতগুলো কবিতারাজি।”
তখন আকাশ জুড়ে
বনাঞ্চল আলোকিত করে শুধুই পূর্ণ শশী।