ওমেগা দাদু
একতলার বারান্দার গ্রীলের তীব্র ঝাঁকুনি শুনে আমি উঠে উঁকি মেরে দেখি ফেরিওয়ালা ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলাম,কি চাই? সে বলে ওমেগা দাদুকে ডেকে দাও। দাদু তাকে নাকি বলেছিল ঘড়িটা বিক্রি করবে। সেদিন বেশি টাকা তার কাছে ছিল না। আজ সে টাকা দিয়ে ঘড়িটা নিয়ে যাবে। ছেলেটির কথায় বেশ অবাক হলাম।দাদু এমন কথা বলতেই পারে না। যত তাকে বলি দাদু এখানে থাকে না। কিছুদিন
হল আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। সে নাছোড়বান্দা বলে দাদুর ঠিকানা দাও। আরে, সেই ঠিকানা কি কাউকে দেওয়া যায়? সবাইকে একদিন সেখানে যেতে হয়। সে বলে তবে ঘড়িটা দাও। আমি রেগে তাকে ধমকে দিয়ে বললাম, সাতসকালে এসে বিরক্ত করিস কেন? দূর হ তুই।
আমি দেখেছি ঘড়িতে দম দিতে দিতে বাম হাতে সেটা বেঁধে নিত। একদিন দাদু নিজেই বলেছিল,জানিস বিয়েতে আমি দুটো জিনিস পেয়েছিলাম।একটি অবুঝ দেশি আর একটি বিদেশি। বিদেশির সঙ্গে দাদুর
ছিল মধুর সম্পর্ক একেবারে বন্ধুর মতো সখ্যতা।আর যত তিক্ততা দেশি অবুঝ আমার দিদার সাথে।দিদার সাথে ওমেগার মতো হৃদ্যতা ছিল না।