অনেক দিন পর, আজ আবার তোকে খোলা চিঠি লিখছি।
না;
কোনো ডাক বাক্সে এ চিঠিও পোস্ট হবে না।
তোর সাথে কাটানো সেই মুহুর্ত গুলো,
যে গুলো আজও
আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে ফেরে-
সেই কফিহাউস, নিউমার্কেট, চৌরঙ্গীর ফুটপাত ধরে
হাতে হাত রেখে হাঁটা, লাইট হাউসে সিনেমা দেখা,
সব, সব আমার মনের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ায়।
আমি ভুলতে পারিনা সেই স্মৃতিগুলো!
তোর মনে আছে?
সেদিন স্বভূমিতে আড্ডায় বসে
গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে
যখন বাইরে তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো!
হঠাৎ তোর মাথায় চাপলো ভুত। তুই বললি-
ভিজবি? বৃষ্টিতে?
আমিও কেমন এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম।
দুজনে শিশুর মতো ভিজতে লাগলাম।
ভুলে গেলাম আমাদের বয়সের সব হিসেব-নিকেস।
জমা জলে পাতা ভাসিয়ে
ফিরে গেলাম ছেলেবেলায়।
সবাই অবাক হয়ে দেখতে লাগলো
দুটো পূর্ন বয়স্ক মানুষের অদ্ভুত এই ছেলেমানুষি।
মনে আছে; সেদিন বাড়িতে ফিরে অনেক কৈফিয়ত দিতে হয়েছিল।
মায়ের বকা, আর বাবার মা’কে ভৎসনা-
মেয়ে মানুষ করতে পারোনি!
মাঝে বয়ে গেছে অনে..ক বছর, সময়ের যবনিকাপাত ঘটে গেছে।
আজ এই বৃদ্ধাশ্রমে বসে,
আমি তবু.. তোর ফেরার অপেক্ষায়।
তুই এক বার ফিরে আয়!
ফিরে আয় একবার!
আমার অপেক্ষার প্রহর গোনার
হোক অবশেষ।